প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় রেললাইন, বসন্তপুর নৌবন্দর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটনসহ ২১ দফা দাবীতে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল ২০২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল। সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর দীর্ঘদিনেও নাভারন-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। বসন্তপুর নৌবন্দর স্থাপনের সংরক্ষক নিয়োগ করে গেজেট প্রকাশিত হলেও দৃশ্যত আর কোন কার্যক্রম নেই। সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সাতক্ষীরায় পর্যটন সম্প্রসারণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও চিকিৎসক ও জনবল সংকটে সেটি চিকিৎসা সেবায় পরিপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ভোমরা বন্দর আজো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি।
জেলার বিভিন্নস্থানে রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নূন্যতম নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌর এলাকার মানুষ। আয়রন আর্সেনিক লবনাক্ততা সমস্যার কারনে বিশুদ্ধ পানির অভাব জেলার সকল এলাকায়। জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন রোধে সরকার গৃহীত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নদী কেটে খাল এবং খাল কেটে ড্রেন নির্মাণ করে এই জেলাকে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছে। জনগনের হাজারো অভিযোগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে। সভার বক্তারা আরো বলেন, সারাদেশে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এপারের জেলাগুলোতেও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যশোর-নড়াইল-খুলনা-বাগেরহাট পর্যন্ত এসে পৌছালেও সাতক্ষীরা জেলা এখনো অনেকটা দূরে রয়ে গেছে। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের গতি খুবই ধীর। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এই এলাকায় শিক্ষার হার কম।
দরিদ্রতার হার দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে মৌলবাদ জঙ্গিবাদসহ নানা সংকটে জর্জরিত এই এলাকা। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই এলাকাকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। বক্তারা সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবীর প্রতি সংহতি জানিয়ে পাটকেলঘাটা থানাকে উপজেলা এবং সাতক্ষীরাকে প্রথম শ্রেণির জেলা ঘোষণার দাবী জানান। সভায় সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবী সম্বলিত বুলেটিন প্রকাশ, ২৯ এপ্রিল পরবর্তী সভা, ৩ মে সাতক্ষীরার সকল সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিকট একযোগে ২১ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ এবং ৮ সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, শেখ আজাহার হোসেন, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, মাধব চন্দ্র দত্ত, আলী নুর খান বাবুল, এড. ওসমান গনি, এড. আজাহারুল ইসলাম, শেখ হারুণ অর রশিদ, কাজী আকতার হোসেন, ওহাব আলী সরদার, অধ্যাপত ইদ্রিশ আলী, এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, নিত্যা নন্দ সরকার, আবু আফনান রোজ বাবু, শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, আব্দুল্লাহ সরদার, শেখ মনিরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির, কায়সারুজ্জামান হিমেল, এড. আল মাহামুদ পলাশ, কামরুজ্জামান রাসেল, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এড. মুনির উদ্দীন, মো.ইছহাক সরদার, এড. কাজী আব্দুল্লা হাবিব, আব্দুর জব্বার, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, আদিত্ব মল্লিক, কমরেড আবুল হোসেন, মুনসুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, এড.জাফর উল্লাহ কুতুব উদ্দিন মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জোৎন্সা দত্ত, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।