এপ্রিল ২৬, ২০২৩
শ্যামনগরে যমুনা খননকালে চন্ডিপুর মহাশ্মশানের লাশ স্নানের বেদি ভেঙে ফেলার ১২ দিনেও কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদি যমুনা খননকালে রেকডীয় জমিতে থাকা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চÐিপুর মহাশ্মশানের লাশ ¯œানের বেদি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার ১২ দিনেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বুধবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শণের কথা বলে দীর্ঘ সময়ে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে দুপুর দুইটার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড -২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী শেখ আল মুনসুর রহমান ঘটনাস্থলে এলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রæত বেদি তৈরি করে দেবেন এমন কথা বলায় নির্ধারিত সময় এক সপ্তাহ কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এ সময় চÐিপুর মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিতোষ মÐল নিজেকে ও উপসহকারি প্রকৌশলীকে সরকারি লোক বলে কবে সংস্কার করা হবে তা বলা যাবে না উল্লেখ করায় স্থানীয় কয়েকজন ক্ষুব্ধ হন। সরেজমিনে বুধবার দুপুর দুটোর দিকে চÐিপুর মহাশ্মশানে গেলে ডোম নয়ন মÐল জানান, গত ১৫ এপ্রিল কোন কারণ ছাড়াই ঠিকাদারের নিয়োগকৃত লোক দেলোয়ার এসকেভেটর মেশিন দিয়ে রেকডীয় জমিতে নির্মিত শ্মশানের লাশ ¯œান বেদি ভেঙে দেন। ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারপিট করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। একপর্যায়ে তারা মাপজরিপ ছাড়া খনন করা হবে না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ওই কথার পূণঃরাবৃত্তি করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী শেখ আল মুনসুর রহমান। এরপর বুধবার সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী শেখ আল মুনসুর রহমান ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার নিশ্চয়তা দিলেও তারা আসেন নি। ফলে লাশ দাফন নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হবেন সাত গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এরপর নকীপুর মহাশ্মশানের পাশে যেয়ে দেখা গেছে সেখানে আমিন সুনীল কুমার ঘোষকে নিয়ে মাপ জরিপ শুরু করেছেন উপসহকারি প্রকৌশলী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি উপসহকারি প্রকৌশলী চÐীপুর মহাশ্মশান বেদী ভাঙচুর এর নেপথ্যে কারা, বৈঠকখানা, বাড়ি, কবরখোলা কেন বাদ রেখে নদী খনন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার একপর্যায়ে শ্মশান কমিটির সভাপতি পরিতোষ মÐল বলেন, আমরাও সরকার পক্ষের লোক , উপসহকারি প্রকৌশলীও সরকারি লোক, এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা যাবে না। পরবর্তীতে উপসহকারি প্রকৌশলী চÐিপুর মহাশশ্মানে এলে একই ভাবে নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যে শশ্মান বেদি তৈরি করার জনগনের প্রস্তাব এড়িয়ে যেয়ে পরিতোষ মÐল বলেন, দ্রæত করলেই হবে। এর জন্য কোন সময় বেঁধে দেওয়ার দরকার নেই। তখন গোবিন্দ মÐল, সাধন মÐলসহ কয়েকজন তাকে প্রশাসনের চামচা বলে আখ্যায়িত করেন। স্থানীয়রা জানান, পরিতোষ মÐল শশ্মান বেদি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে তিনি পিছিয়ে গেছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে ভাল থাকতেই ও সুবিধা নিতে মামলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত বেদি নির্মানে সময় সীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন। 8,569,994 total views, 8,699 views today |
|
|
|