Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ার পাকুড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় কুপিয়ে জখম, ৯ দিন পর মৃত্যু

খোর্দ,কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হবার ৯ দিন পর মোঃ শাহীন হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত শাহীন একই এলাকার একাব্বর গাজির ছেলে।
নিহতের বাবা একব্বার গাজী বলেন, তার ছেলে মো: শাহীন হোসেন ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট খোর্দ্দ শাখায় কমর্রত ছিলেন। তার সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

এঘটনায় গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার কলারোয়া থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের স্বজন আফসার আলী গাজী (মামলা নং-৬)। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী মোঃ আমিনুর সরদার পলাতক রয়েছে। সে কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বজলে সরদারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ আলমগীর কবির জানান, স্থানীয় মোঃ আমিনুর সরদারের সাথে মোঃ শাহীনের চাচী মোছাঃ শাহানারা খাতুনের হাঁস মুরগি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বচসা হয়। এসময় আমিনুর সরদার শাহানারা খাতুনকে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তার গলায় রশি বেঁধে দেন। এ ঘটনা দেখে মোঃ শাহীন হামলাকারীকে নিবৃত্ত করতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে সে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৭ এপ্রিল তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বাগেরহাট জেলা সদরের রাখালগাতি ইউনিয়নের ক্ষুদ্রতাকশ্রী গ্রামে তার বোন নার্গিসের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে বৃহষ্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ আলমগীর কবীর জানান, মরদেহটি সদর হাসপাতলের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version