Site icon suprovatsatkhira.com

এক নারীসহ একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক নারীসহ একই পরিবারের চার সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের বক্স গাজীর ছেলে আবুল হোসেন (৬০), তার ভাই শওকত হোসেন (৫৮), ছেলে ইমদাদুল হক (৩৬) ও আবুল হোসেনের স্ত্রী রুমিছা খাতুন (৫৪)। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেন জানান, একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ১৯৮৫ সালে ফারুক হোসেন, শওকত আলী , আহম্মদ গাজী ও জোহরা খাতুন গোকুলনগর গ্রামের পশ্চিম বিলে ১১ বিঘা জমি কেনেন। দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও তারা ১১ বিঘার পরিবর্তে সাত বিঘা জমি ভোগদখল করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে মোহাম্মদ গাজীর ছেলেদের সাথে তাদের বিরোধ রয়েছে। রয়েছে দেওয়ানী আদালতে উভয়পক্ষের মামলা। মামলা থাকার পরও এই সাত বিঘা জমির ফসল তারা বিভিন্ন সময়ে কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছিলো। এ বছর ওই জমিতে বোরো চাষ করেন তারা। গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে তাদের(আবুল) কাটা ধান লুট করার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় মোহাম্মদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, ছবেদ আলী মোল্লার ছেলে ফয়জুল মোল্লা, রবিউলের ছেলে আবু সাঈদ শরিফুলের ছেলে বিথারজ ওরফে বাবুসহ কয়েকজন নারীসহ তাকেসহ স্ত্রী রুমিছা, ছেলে ইমদাদুল হক ও ভাই শওকত হোসেনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা ধান লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আবুল হোসেন অবিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই থানায় এজাহার দাখিল করলেও কোন আসামী সোমবার বিকেল চারটা পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। উপরন্তু তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তামিম হোসেন জানান, আবুল হোসেনের ডান ও বাম হাতে রেঅহারজ রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শওকত হোসেন এর বাম হাতের দুটি হাড় ভেঙে গেেেছ। ইমদাদুলের বাম পায়ের গোড়ালির হাড় ফেটে গেছে। রুমিছা খাতুনের বাম হাতের হাড় দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। ইমদাদুলের বাম পায়ের গোড়ালী ফেটে গেছে। গোকুলনগর গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, সাত বিঘা জমির মধ্যে তাদেরও জমি আছে। এ নিয়ে মামলাও রয়েছে। আবুল হোসেন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক ধান কেটে বাািড় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল হকের সঙ্গে সোমবার দুপুরে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version