মার্চ ২১, ২০২৩
উপকূলের জলবায়ু সংগ্রামের সাথে দেশের ৫০ তরুণের সংহতি
ডেস্ক রিপোর্ট : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক, কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও সুপেয় পানির সংকট তৈরি হয়েছে। এসব সংকটকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন নানাধরণের পারিবারিক ও সামাজিক দ্ব›দ্ব তৈরি হচ্ছে। সংকট ঘিরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অভিযোজন চর্চাও বৈচিত্র্যময়। আবার, জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব শুধুমাত্র সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় নয়, দেশের রাজশাহী, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, এমনকি ঢাকাতেও বিদ্যমান। ২১ মার্চ বিশ^ বন দিবস এবং আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা ঘুরে স্থানীয় কৃষক, বনজীবী, জেলে, মুন্ডা-বাগদী, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, স্থানীয় সরকার, জনসংগঠন ও যুব প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জলবায়ু সংকট, দ্ব›দ্ব এবং টিকে থাকার কৌশল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সরেজমিনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং উপকূল মানুষের জীবনসংগ্রাম অবলোকন করেন।
তারা জানান, ৪০ বছর আগে এলাকায় যেসব ধান, মাছ, গাছ, পাখি ও বন্য জীবজন্তু ছিল, সেসব এখন হারিয়ে গেছে। বদলে গেছে এলাকার দুর্যোগ পঞ্জিকাও। রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালার মেয়ে আইরিন হেমব্রম বলেন, তাদের গ্রামে পানির খুব অভাব। অনাবৃষ্টি আর খরায় প্রতিবছর নষ্ট হয় তাদের ফসলের জমি। এসময় যুবরা জানান, বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবন কেবল দুর্যোগ থেকে দেশকে বাঁচায় না বরং বিশে^ও এই বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন পৃথিবীর এক বৃহৎ কার্বণ শোষণাগার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা, জোয়ারের উচ্চতা এবং দুর্যোগ বৃদ্ধির প্রভাব থেকে এই বনকে বাঁচাতে হবে পৃথিবীতে টিকে থাকার স্বার্থে। দেশের সব তরুণ যুবদেরকেই সচেতনভাবে এই দায়িত্ব নিতে হবে। কর্মশালার সমাপনী পর্বে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নিরাপদ বাইন, শ্যামনগর জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির আহবায়ক কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা কৌশল্যা মুন্ডা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিএম আবদুর রউফ গাজী, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হালিম, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, বারসিকনিউজের সম্পাদক সিলভানুস লামিন, নগরদারিদ্র্য বিষয়ক গবেষক জাহাঙ্গীর আলম, বারসিকের উপকূলীয় এলাকা সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, বারসিক কর্মকর্তা বাবলু জোয়ারদার, রুবিনা পারভীন প্রমুখ। 8,564,195 total views, 2,900 views today |
|
|
|