নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার শেখ শামিম হাসান ও সিনিয়র অফিসার জাহিদ হাসান গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণের অভিযোগ উঠেছে। এই দুই কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত একের পর এক গ্রাহকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে গেলেও অজ্ঞাত কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের নিদিষ্ট সেবা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে অলস সময় কাটাতে দেখা যায় তাদের। ফলে সীমাহিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
স্থানীয় কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রাম রহিমপুর এলাকার মিয়ারাজ হোসেন জানান, কিছুদিন আগে আমি জনতা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়েছিলাম। কিভাবে খুলতে হয় বা নিয়ম কানুন কি সেবিষয়ে ভালো বুঝি না। সেজন্য আমার সাথে আমার এক বড় ভাই কাজী আল মামুনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাংকের ম্যানেজার শামিম ও অফিসার জাহিদ আমাদের সাথে খারাপ আচারণ করেছিলো।
ভাড়াশিমলা ইউপি’র শাহিন হোসেন জানান, জনতা ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়েছিলাম। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্যি একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে দুই দিন সময় লাগছে। ম্যানেজার শামিম ও অফিসার জাহিদের ব্যবহার প্রচন্ড খারাপ। সিনিয়র অফিসার জাহিদ সবার সামনে দম্ভ করে বলে সরকারি ব্যাংকে এর চেয়ে বেশি সেবা দিতে পারবো না। বেশি সেবা দিতে হলে বেসরকারি ব্যাংকে যান।
ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জনতা ব্যাংকে গিয়ে ওদের ব্যবহার দেখে ফিরে এসেছি। মানুষকে ওরা মানুষ ভাবে না। এত পরিমাণ খারাপ আচারণ করে যেটি না দেখলে বিশ^াস করা যায় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ম্যানেজার শামিম আমাদের এক সিনিয়র স্যারের সুপারিশে ম্যানেজার হয়েছে। যার কারণে সে কাওকে তোয়াক্কা করে না। ম্যানেজারের সাথে মিশে সিনিয়র অফিসার জাহিদও গ্রাহকের সাথে খারাপ আচারণ করে।
এ দিকে গ্রাহকদের ভোগান্তির বিষয়ে সরেজমিন এ প্রতিবেদক ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার শামিম ও সিনিয়র অফিসার জাহিদ সাংবাদিকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচারণ করে।
এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।