Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়া সীমান্ত পথে আসছে ভারতীয় পণ্য: সয়লাব ঈদ বাজার

ডেস্ক রিপোর্ট: রোজা ও আসন্ন ঈদের বাজার দখলে কলারোয়া সীমান্ত পথে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য পাচার হয়ে আসছে। ঈদ আসন্ন হলে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ হয় বলে আগাম ভারতীয় পণ্য পাচার হয়ে আসে। সীমান্তের একাধিক বিশ^স্থ সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদের বাজারের ভারতীয় পণ্য প্রবেশে গভীর রাতে সীমান্ত খোলা রাখা হচ্ছে। রাতে রাস্তাঘাট নির্জন ফাকাঁ হলে সীমান্তের চোরাই পয়েণ্ট গুলো দিয়ে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়। ডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গভীর রাতে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ভারতের তারকাটার বেড়ার গেট খুলে চোরাচালানী পণ্য বাংলাদেশে পাচার করে নিয়ে আসছে।

সোনাই ও ইছামতি নদী সীমান্তে এসব পণ্য বাংলাদেশে আনার জন্য বেশ কিছু নৌকা নিয়োজিত রয়েছে। সীমান্তের কেড়াগাছি চারাবাড়ি ঘাট, কেড়াগাছি কুটিবাড়ি ঘাট, কেড়াগাছি রথখোলা ঘাট, কেড়াগাছি গাড়াখালী ঘাট, দক্ষিণ ভাদিয়ালী ঘাট, ভাদিয়ালী তেতুলতলা ঘাট, উত্তর ভাদিয়ালী কামারবাড়ি ঘাট, রাজপুর খা-বাগানের ঘাট, চান্দা ¯øুইচ গেট ঘাট, বড়ালী ¯øুইচ গেট ঘাট, উত্তর বড়ালী ঘাট, হিজলদী ভদ্রশাল ঘাট, হিজলদী শিশুতলা ঘাট, সুলতানপুর ঘাট, সুলতানপুর তালসারি ঘাট, গোয়ালপাড়া ঘাট, চান্দুড়িয়া ঘাট, কাদপুর ঘাট ভারতীয় পণ্য পাচারের কাজ চলছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এসব ঘাট দিয়ে রোজা এবং আসন্ন ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী আসছে। এর মধ্যে চিনি, পিয়াজ, ছোলা, বুট, ব্যাসন, আদা, লবণ, চিড়া, সুজি, জিরা, মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচী, আঙ্গুর, আপেল, মালটা, ন্যাশপতি, বেদানা, কিসমিস, শার্ট পিস, প্যাণ্ট পিস, রকমারি পাজ্ঞাবী, থ্রিপিস, টুপিস, জর্জেট শাড়ী, ওড়না, গেজ্ঞী, জাঙ্গিয়া, শিশু পোশাক, বালিশের কভার, বেডশীট, তোয়ালে, সিট কাপড়, উন্নতমানের বোম্বে প্রিণ্ট শাড়ী, সাউথ ইÐিয়ান সিল্ক, কাতান, বেনারসী, আতর, সেণ্ট, বডি লোশন, রকমারি ক্রিম, সেভিং লোশন, সেভিং ক্রীম, হাড়ি, কড়াই, ষ্টীলের প্লেট, গøাস, বাটি, গামলা, বালতি, কড়ির কাপ, পিরিচ, প্লেট, ডিনার সেট, শিশু খেলনা, সেনেটারী ব্যাসিন, পাইপ, প্যান, বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেণ্ট, এলইডি বাল্ব, ফ্যান, ঘর ওয়ারিং সামগ্রী ¯øুইচ, সিলিং রোজ, সকেট অন্যতম। এছাড়া সীমান্ত খোলা থাকার সুযোগে ফেনসিডিল, মদ, গাজা, আফিম, ভাং, সিদ্ধি, প্যাথেড্রিন, ইয়াবা সহ নানা প্রকার যৌন উত্তেজক সামগ্রী পাচার হয়ে আসছে। রাতে এসব পণ্য সীমান্ত সংলগ্ন নির্জন রাস্তায় ট্রাক বা পিকআপ বা মাইক্রো ভরে এসব পণ্য দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সীমান্তে পণ্য সরবরাহে আগত বিভিন্ন কোম্পানীর ডেলিভারী ভ্যানে, রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স ভরে এসব পণ্য দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়। আবার মটর সাইকেল, ইজিবাইক বা থ্রিহুইলারে ভরে বাগআচড়া বাজার, বাকড়া বাজার, কলারোয়া বাজার, কেশবপুর বাজার, রাজগঞ্জ বাজার, মনিরামপুর বাজার, নওয়াপাড়া বাজার, পাটকেলঘাট ও চুকনগর বাজারে নেওয়া হচ্ছে। এরপর এসব পণ্য তালা, পাইকগাছা, বৈটিয়াঘাটা, দাকোপ, ফুলতলা সহ দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজার ও রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাট বাজার এখন সস্তা দামের চাকচিক্যময় ভারতীয় পণ্যে সয়লব হয়ে গেছে। এতে দেশীয় পণ্য অবিক্রীত হয়ে পড়ছে। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version