নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘আলো ছড়াতে আধার তাড়াতে বই পড়ি, পাঠাগার গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী একুশে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) বিকালে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক জেলা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে ফিতা কেটে প্রধান অতিথি হিসেবে একুশে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “একুশে বইমেলা এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একটি চক্র অনেক বইতে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বিকৃত করেছিল। আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের বাংলাভাষাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল তৎকালীন পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠী, সালাম বরকত রফিক সহ অনেক ভাষা শহিদ তাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এক ভাষণেই অসংগঠিত বাঙালিদেরকে সঙ্গবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমাদের বাংলাদেশিদের দুইটি গর্বের মুকুট আছে একটি ভাষার জন্য যুদ্ধ অন্যটি মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ এবং ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ আল-হাদী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা প্রিয় কমল চাকমা, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।