Site icon suprovatsatkhira.com

তালার কলাগাছি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি : তালার কলাগাছি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩টি পদে নিয়োগ প্রদানে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরস্পর যোগসাজশে নীতি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেবার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এঘটনায় এলাকার সচেতন মহল ও বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি প্রতিবাদমুখর রয়েছে। যেকারনে ইতোপূর্বে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রসাদ মন্ডল ও প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি দাস অস্বচ্ছতার সাথে আবারও নিয়োগ প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের এবং স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ প্রদানের দাবী উপেক্ষা করে সভপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বানিজ্য’র চেষ্টার ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ঘটনার প্রতিকার পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কৃষ্ণপদ ব্যানার্জ্জী ও তৃপ্তিমোহন মন্ডল সহ একাধিক ক্ষুব্ধ ব্যক্তি জানান, এলাকার ঐতিহ্যবাহী কলাগাছি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে এলাকার মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় প্রসাদ মন্ডল ভোটারদের নদগ টাকা ও পবিত্র গীতা দিয়ে জিম্মি করে সভাপতি হন। এবিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডে সেসময় অভিযোগ দায়ের করা হলে তিনি প্রভাব বিস্তার করে অভিযোগ খারিজ করান। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে একের পর এক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। ফলে বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রসাদ মন্ডলের স্ত্রী ও সন্তান ইতোমধ্যে ভারতে চলে গেছেন এবং তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সভাপতি প্রসাদ মন্ডল স্থানীয় একটি কলেজে শিক্ষাকতা করেন এবং তাঁর চাকুরির মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তিনি তার প্রায় সব সম্পদ বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা ভারতে অবৈধ ভাবে পাচার করেছেন। চাকরি থেকে অবসরে যাবার পর পেনশনের টাকা সহ বাদবাকি কিছু সম্পদ যা আছে তার সব বিক্রি করে প্রসাদ মন্ডল নিজেও ভারতে স্থায়ী বসবাসের জন্য চলে যাবেন। এরইমধ্যে তিনি কলাগাছি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ায় বিদ্যালয়ের ৩টি শূন্য পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে সেখান থেকে ৩০/৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা ভারতে পাচার করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এলাকার মানুষ স্বচ্ছতার সাথে বিদ্যালয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এঘটনায় প্রসাদ মন্ডল অভিযোগকারীদের হুমকি প্রদান করছে বলে জানাগেছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি দাস- বিদ্যালয়ে ৩টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রদানের কার্যক্রম চলছে বলে জানান। তবে অনিয়ম এবং দূর্ণীতির বিষয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি এতোটুকু বলেন, আমি কোনও অনিয়ম না করার চেষ্টা করবো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতিয়ার রহমান বলেন, কলাগাছী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছে। সেখানে আবারও নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে, নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে আমি কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। এবিষয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করার পরও নীতিমালা বহির্ভূত ও দূনীতির মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবার চেষ্টা করা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুর্নীতির সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনে মানববন্ধনসহ সবধরনের আন্দোলন করা হবে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রসাদ মন্ডল’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version