Site icon suprovatsatkhira.com

সুন্দরবনে বাঘ গণনায় ক্যামেরা চুরি হওয়ার রহস্য উৎঘাটন হয়নি

জি এম মাছুম বিল্লাহ, সুন্দরবনাঞ্চল প্রতিনিধি : সুন্দরবনে বাঘ গণনায় ক্যামেরা চুরি হওয়ার রহস্য উৎঘাটন করতে পারিনি বনবিভাগ। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে সনাক্ত বা আটক করাও সম্ভব হয়নি। অথচ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভূল তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে। বনবিভাগের তথ্য মতে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তারা কেউ ক্যামেরা চুরির ঘটনায় জড়িত না। ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়ে এখনএ চলমান আছে। বাঘ গণনার জন্য সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং গ্রæপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভিতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভায়ারন্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তারা চুরির বিষয়টি ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহে বুঝতে পারেন। অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন।

সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রæয়ারি থেকে সুন্দরবনের কৈখালী ও কদমতলা দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ। বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানাযায়, গত রবিবার (১২ই ফেব্রæয়ারি) সকাল ১০টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর নেতৃত্বে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে অভিযান চালায়ে ডিঙ্গিমারি এলাকা থেকে ৫ টা নৌকাসহ ১৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের সুন্দরবনের বাঘ গণনা ক্যামেরা চুরির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কিছু জানেন না বলে জানান আটককৃতরা। পরবর্তীতে সোমবার (১৩ই ফেব্রæয়ারি) তাদেরকে চুরি করে মাছ ধরার অপরাধ দেখিয়ে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। তবে আসামিদের সুন্দরবনের ডিঙ্গিমারি এলাকা থেকে আটক করেছে সেখান থেকে ক্যামেরা চুরি হওয়ার স্থানের দুরুত্ব ৩০ কি:মি:। ক্যামেরা চুরি হওয়া সংশ্লিষ্ট বিষয় (১৬ ফেব্রয়ারি) বৃহস্পতিবার কাউকে আটক করা হয়নি। সুন্দরবনের অভায়রণ্যে এলাকায় চুরি করে মাছ ধরার অপরাধে শ্যামনগর উপজেলার জাহাঙ্গীর শেখ (৪২), ওহাব আলী(৪৩), আবুল গাজী (৬২), মহিবুল্লাহ মল্লিক (২৮), নুরুল আলম গাইন (২০), আব্দুর রহিম (২৭), আমজাদ মোল্লা (৫৫), আসাদুল (৪০), রিপন (২০), বাবর আলী (৩৩), আমজাদ (৩৫), ইউনুস আলী (৪৮) মুন্নাক (৬২), আকবর গাজী (৪৫)কে আটক করে জেলে পাঠায়।১৫ তারিখে অভায়রণ্যে মাছ ধরার একুই অপরাধে ২ জনকে আটক করে। আটককৃতের পরিবারের পক্ষ জানাযায়, সুন্দরবনের অভায়রণ্যে থেকে চুরি করে মাছ ধরার অপারাধে গত (১৩ ফেব্রæয়ারি) রবিবার মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়ায় আটকের একুই ছবি ব্যাবহার করে ক্যামেরা চুরির ঘটনায় (১৬ ফেব্রæয়ারি) ১৪ জন আটক করেছে এটা খুবই দু:খ জনক। তারা মাছ ও কাঁকড়া মারতে গিয়েছিল কিন্তু তাদেরকে ক্যামেরা চুরির ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।

এসময় মিডিয়ায় বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানাই। এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, তার ছেলে অন্যদের সঙ্গে অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা সুন্দরবনে বাঘ–হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বুড়িগোয়ালিনি ষ্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন,(১৬ই ফেব্রæয়ারি) ক্যামেরা চুরির ঘটনায় কাওকে আটক করা হয়নি।(১২ই ফেব্রয়ারি) অভায়রণ্যে এলাকায় চুরি করে মাছ ধরার অপরাধের বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫ টা নৌকা সহ ১৪ জনকে আটক করে ১৩ তারিখে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। এধারনের সংবাদ প্রকাশে বিবৃত হয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারও তাদের কাছে সঠিক বক্তব্য না নিয়ে নিজেদের মন গড়া বক্তব্য প্রকাশ করছে বলে দাবি জানান এ কর্মকর্তা। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারা এসব ক্যামেরা সরিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক সবাইকে দ্রæত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি দাবি করেন। ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version