নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ৫৭ নং পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে মুসলিম কোন শিক্ষক স্থায়ী ভাবে না আসায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বইয়ে পাঠদান চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রæয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সুত্রে জানা যায়,বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোন মুসলিম শিক্ষক শিক্ষক হিসেবে না আসায় ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বইয়ে পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা নিয়ে লেখাপড়ার মান চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। বিশেষ করে বিদ্যালয়টি মুসলিম এলাকায় হওয়ায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই বেশি। অনুসন্ধানে দেখা যায়,২০০৯ সাল থেকে এখনও বিদ্যালয়টিতে কোন মুসলিম শিক্ষক স্থায়ীভাবে যোগদান করে নি। ২০০৮ সালে একজন শিক্ষক যোগদান করার কিছুদিন পরে অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মোট ২শ ৭২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগই মুসলমান সন্তান। বিদ্যালয়টির নৈশ প্রহরী কাম অফিস সহায়ক পদে একজন মুসলিম ছাড়া আর বাকি ৬জন শিক্ষক হিন্দু ধর্মালম্বী। যার ফলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা বইয়ে পাঠদান কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। পড়া দেওয়া আর নেওয়া ছাড়া শির্ক্ষাথীদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোন জ্ঞান শিখানো হচ্ছে না।
অভিভাবক পিরোজপুর গ্রামের বজলুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে একজন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি । কারণ সব শিক্ষকই হিন্দু। এজন্য অচিরেই ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই। অন্যথায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে এবং শিক্ষা কার্যক্রম চরম হুমকির মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার মন্ডল প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলায় থাকায় মতামত নেওয়া সম্ভব হয় নি।
প্রধান শিক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষক কর্মকর্তা পাশ^বর্তী বিদ্যালয় হতে শিক্ষক সমন্বয় করে এ সমস্যার সমাধান করা যায় বলে অভিভাবকরা জানান। কিন্তু এতদিন কেন সেটা বাস্তবায়ন হয়নি? এর দায়ভার কার? এমন প্রশ্নই শোনা যায়।
এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অভিভাবক তাদের দাবি দ্রæত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ৫৭ নং পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।