সুমন কর্মকার, মাগুরা (তালা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে। সংস্কারের টেন্ডার হলেও এক বছরেও কাজ শেষ করা হয়নি। জানা গেছে, পাটকেলঘাটার আচিনতলা থেকে দলুয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তালা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী পাইকগাছা, কয়রা, আশাশুনি ও বিভিন্ন এলাকার শত শত যানবাহনসহ কয়েক হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। বেহাল দশার কারণে জনসাধারণ দুর্ভোগ বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকেলঘাটার অচিন তলা নামক স্থান থেকে খলিশখালীর হরিতলা পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ গত বছরের জানুয়ারি মাসে কার্পেটিং এর কাজ শুরু করা হয়।
পরবর্তীতে কোন এক অদৃশ্য কারণে কার্পেটিং এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাকা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তী ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৭১ টাকায় সড়কের ৪.২ কিলোমিটার সড়কের আংশিক কাজ পায়। গত বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজের ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে সড়কের সংস্কার কাজ পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এক বছরেও সংস্কার শেষ হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সড়কের বাকি অংশের অবস্থাও চলাচলের অনুপযোগী। সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সিএনজি চালক বিল্লাল সরদার, প্রকাশ বিশ্বাস, আশরাফুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সড়কের এই বেহাল দশা। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
কেউ অসুস্থ হলে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কিংবা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয় না। সড়কের কার্পেটিং এর খোয়া উঠে কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে যা চলাচলের অনুপযোগী। এর ফলে অনেক সময় প্রাণহানির মত দুর্ঘটনাও ঘটে। তারা আরও জানান, এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান ব্যবসা মৎস্য চাষ, বিভিন্ন কৃষি ফসল ও পান চাষীদের উৎপাদন করে পাটকেলঘাটা, মির্জাপুর, বিনেরপোতা, ১৮মাইলসহ বিভিন্ন জায়গায় পরিবহনের সময় বেশি লাগার কারণে ব্যবসায়ীসহ চাষীদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, অনতিবিলম্বে সড়কের কাংপেটিং করে বাকি অংশ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাকা এন্টার প্রাইজের স্বাধিকারী তপন চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে একটি সূত্রে জানা যায় অতিদ্রæত সড়কের কার্পেটিং এর কাজসহ সংষ্কার কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ হালদার বলেন, গত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। জুন মাসে সমাপ্তির কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে আজও জন-দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ইতিমধ্যে ৫ বার সংশ্লিষ্ট ঠিকদারকে চিঠি দিলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি নিয়ে জেলা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। দ্রæত সড়কের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।