কলারোয়া প্রতিনিধি: উত্তরের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহে কলারোয়ার জন জীবন চরম ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। মধ্য রাত থেকে উত্তরে কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার সংগে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সারাদিন সূর্যের আলো দেখতে পাওয়া যায়নি। কুড়ে ঘর, দরজা জানালা বিহীন ঘরে শাড়ির পর্দার ফাক দিয়ে ফুরফরে উত্তরে হিমেল বাতাস প্রবেশে করতে থাকে।
এসময় প্রচÐ ঠান্ডায় মাথা, নাক, মুখ ঠান্ডা হয়ে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। টিনের চালের ঘরে শিশির বিন্দু জমে ফোটা ফোটা পানি পড়তে থাকে লেপ, কাথা, কম্বলের উপর। মনে হয় গায়ে দেওয়া কাথা কম্বল ঠান্ডায় ভিজে যাচ্ছে। সকালের মধ্যে কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সংগে ঘন কুয়াশার আবরণে কলারোয়ার মাঠঘাট পথ প্রান্তর জনপদ ঢাকা পড়ে যায়। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া, কুয়াশা আর শিশিরে ভেজা গাছপালা ফসলের ক্ষেত থরথর করে কাপতে থাকে। ঘরের বাইরে বের হলে প্রচÐ ঠান্ডায় হাত পা অসাড় হয়ে আসতে থাকে।
অন্যদিকে দৃষ্টিসীমা ২০/২৫ ফুটের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়ায় পথ চলা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পথ চলতে চোখে মুখে শিশির জমে যায়। ফলে যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালায়ে ধীর গতিতে চলতে থাকে। ঠান্ডার দাপটে মানুষ স্বেচ্ছায় গৃহবন্ধী হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের অভাবে ঘর থেকে বের হয়ে অনেকে আগুন জ্বালায়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে।
কিন্তু অগ্নিকুÐের বিপরীত পাশের দেহ অসাড় হয়ে আসতে থাকে। এই প্রচÐ ঠান্ডায় মাঠঘাটের কাজকর্ম ফেলে মানুষ বাড়িতে নিরাপদ আশ্রায়ে অবস্থান গ্রহণ করে। আর ঠান্ডায় গ্রামের মোড়ের চা দোকানগুলো সরগরম হয়ে উঠে। তবে হাট বাজারের বেশীর ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও, দোকানে কোন ক্রেতা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু পুরানো শীত বস্ত্রের দোকানগুলো জমজমাট বেচাকেনা চলতে দেখা যায়।