Site icon suprovatsatkhira.com

দেবহাটায় যৌতুকে দাবিতে নির্যাতন: হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ২ নারী!

নিজস্ব প্রতিনিধি : দেবহাটায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ২ গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ খাদিজা পারভীন (২২) ও হিরা পারভীন (২৪) বর্তমানে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিসাধীন রয়েছেন। দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের আবুল হোসেন জানান, আমার মেয়েকে উপজেলার কোঁড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আবু ফরহাদ ফারুকের সাথে আমার বিবাহ প্রদান করি।

বিয়ের পর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে বিভিন্ন দাবি দাওয়া করে আসছিল। তার সূত্র ধরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেয়। এরপরও তাদের চাহিদা কমেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকের চাপে গরু কিনতে ২৫ হাজার, বিয়ের সময় তাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বর্ণের কানের ঝুমকো দুল, হাতের পেটি, আংটি প্রদান করি। এছাড়া বিভিন্ন সময় ধরে প্রায় ৮ বছরে ৯ লাখ টাকা আদায় করে তারা। এরপরও তাদের চাপে পড়ে চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আমার মেয়েকে তারা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয়।

কিন্তু আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় তাকে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করতে বলে স্বামী আবু ফরহাদ ফারুক। আমার মেয়ে প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে আটকে রেখে মারপিট শুরু করে। মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার খবর শুনে ছেলের বৌ হিরা পারভীনকে দেখতে পাঠায়। কিন্তু সেখানে বৌমা গেলে তাকেও মারপিট করে জামাই ফারুক ও তার ভাই জুম্মাত আলী, ইসরাইল, ইসমাইল, ননদ রজিনা, ননদের স্বামী রেজাউল। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা দুজন সখিপুর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাছাড়া আমার জামায়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের ও আমাদের স্বজনদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version