Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইউরিয়া সার দিশেহারা কৃষক

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইরি বোরো মৌসুম শুরুতেই কলারোয়ায় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে ইউরিয়া সার। ফলে সারের দাম নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ইরি বোরো চাষিরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নিজেদের জন্য সারা বছরের চাল সংগ্রহে রাখাতে কৃষকরা ২/৩ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চষ করে থাকেন। অনেকেই জমি বরগা নিয়ে চষাবাদ করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সাধারণত এসব কৃষকরা খুচরা রাসায়নিক সার ক্রয় করে জমি আবাদ করে আসছেন। গত ১৫ দিন ধরে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে সব ধরনের রাসায়নিক সার সরকার নির্ধারিত মূলের চেয়ে ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে বেশী দামে সার বিক্রি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় কৃষকরা ইরি আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

কলারোয়া প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সংবাদের কলারোয়া প্রতিনিধি আব্দুর রহমান জানান, তিনি ইরি ধানের বীজ তলায় সার প্রয়োগের জন্য জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারের ৭ টি দোকানে যেয়েও সরকার নির্ধারিত দামে সর ক্রয় করতে পারেননি। সরকার নির্ধারিত ইউরিয়া সারের মূল্য ২২ টাকা কেজি হলেও তাকে ২৫ টাকা কেজি দরে সার ক্রয় করতে হয়েছে। সার ব্যবসায়ীরা তাকে জানান, তারা বিসিআইসি ডিলারদের নিকট থেকে বেশি দামে সার ক্রয় করছেন। ফলে তারাও বেশি দামে সার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষক আব্দুর রহমান জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সার উঁচু করে ধরে বেশি দামে সার বিক্রির প্রতিবাদ জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির তদারকি না থাকায় উপজেলা জুড়ে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে। তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্যথায় ইরি বোরোর ভরা মৌসুমে কারসাজি করে ডিলাররা রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিবে। আর আইন অমান্য করে ডিলাররা লাফিয়ে লাফিয়ে সারের দাম বাড়াতে থাকলে এলাকার কৃষকরা আগ্রহ হারাবে। ফসল উৎপাদনে ধস নামবে।

উপজেলার গয়াড়া গ্রামের কৃষক সালাউদ্দীন বলেন, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে ইরির আবাদ করার আশা করেছেন। ডিলাররা ইউরিয়া সারের দাম বাড়ালে আবাদ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কয়েক দিন ধরে উপজেলার সরসকাটি, খোরদো, বামনখালী, দেয়াড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে সারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ তুলছেন চাষিরা।
উপজেলার কামারালী গ্রামের কৃষক মসিয়ার রহমানের দাবি, এবার এক মণ ধান উৎপাদন করতে অনেক খরচ হবে। একদিকে চড়া দামে মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি। ইউরিয়ার দাম সরকার নির্ধারিত পর্যায়ে না থাকলে অল্প করে ইরি আবাদ করা কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হবে।
জয়নগর উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার বলেন, সারের দাম বেশি হওয়া কথা নয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়টি তিনি জানেন না। আজ রবিবার তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানাবেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version