Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় উৎপাদিত সবজির দাম কমে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে

কলারোয়া প্রতিনিধি: শিল্পপন্যের দাম উর্দ্ধমুখী আর কৃষিপন্যের মূল্য হ্রাস। অসম বাজার ব্যবস্থায় কৃষক সহ সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। প্রকট আর্থিক সংকটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, গত বছর আগস্ট মাসে জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধির পরে পরিবহণ সহ সব ধরনের শিল্পপন্যের দাম এক লাফে ৫০% বৃদ্ধি পায়। এমন কি কৃষিপন্য দিয়ে উৎপাদিত শিল্পপন্য দাম বৃদ্ধি পায়। এক কথায় গ্রামের কৃষি পন্য শহর ঘুরে বৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হয়। প্রথমে অবশ্য কৃষিপন্য বৃদ্ধির কাতারে যুক্ত হতে বাদ পড়েনি। কিন্তু দাম বৃদ্ধির ধকলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে গ্রামগজ্ঞে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। একমাত্র চাল ছাড়া লবণ, তেল, ঝাল, সাবান, সোডার মত একেবার অত্যাবশ্যকীয় পন্য কিনতে মানুষ সংযমি হয়ে উঠে। আর মাছ, মাংস, তরিতরকারি কিনতে আরো সংযম অবলম্বন করতে থাকে। এই অবস্থায় গ্রামগঞ্জ ও পৌরসদরের বাজারে ক্রমান্বয়ে বেচাকেনা হ্রাস পাচ্ছে।

ফলে শীতকালিন সবজি ফুলকপির কেজি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি, মাঝারি সাইজের পাতাকপি ১০ টাকা পিস, ওলকপি ১০ টাকা কেজি, একদিন চলার মত পালন ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল বছর শীতকালে একই দামে এসব পন্য বিক্রি হয়েছে। অথচ কৃষকদের উৎপাদন খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কলারোয়ায় উৎপাদিত বরুই বা কুল আগের বছরের দাম ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে এবছরও বিক্রি হচ্ছে ।

কিন্তু ডাল, আলু, ঝাল বাইরের জেলা থেকে আসে বিধায় এগুলোর দাম দেড় গুণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত অবস্থায় বেচাকেনা চলছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম সেঞ্চুরী পার হয়েছে। বৃদ্ধি প্রাপ্ত মাছের দাম থেকে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে হ্রাস পেয়েছে। পোল্ট্রি মাংস ২৭০ টাকা থেকে হ্রাস পেয়ে ২’শ টাকায় এবং গরুর মাংস ৬৫০ থেকে নেমে ৬’শ ক্ষেত্র বিশেষে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় উৎপাদিত পন্যের ন্যার্যমূল্য নেই বলে কলারোয়ার গ্রামগজ্ঞের মানুষের হাতে পয়সা নেই। কলারোয়া বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ী শওকত হোসেন জানান, মাস খানেক যাবৎ তরকারীর মূল্য কম থাকায় কৃষকরা তো দাম পাচ্ছেই না। এই কারনে প্রতি মাসে ব্যবসায়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। ফলে দীনমুজুর শ্রেণীর মানুষের কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। মুজুরের দাম ২৫০ ট্কাায় নেমে এসেছে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version