নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। এক একজন আসামীর পক্ষ থেকে একজন করে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মÐলের আদালতে সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় এ সাক্ষ্য দেন। আগামি ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার সাফাই সাক্ষীরা হলেন আসামী অ্যাড. আব্দুস সাত্তারের পক্ষে মোঃ হোসেন আলী. আসামী তামিম আজাদ মেরিনের পক্ষে মোঃ মনিরুজ্জামান, সেন্টুর পক্ষে আয়নাল হক ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে নাজিমউদ্দিন আলম।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক বিশ^নাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আসামী পক্ষের চার সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। এ মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে আসামীপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। আদালতের কাঠগোড়ায় কারাগার থেকে আনা ৩৯ জন আসামী হাজির ছিলেন। নয় জন্য পলাতক রয়েছেন। ইতিমধ্যে দুইজন কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু,শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড. আব্দুল বারী, অ্যাড. সৈয়দ জিয়া, অ্যাড, ওকালত আলী, অ্যাড, তামিম আহমেদ সোহাগ, অ্যাড. রুহুল আমিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।