Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে শেফালী নিখোঁজ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে কাজের কথা বলে স্ত্রী শেফালীকে পাচার করার অভিযোগে আনুলিয়ার নব্য নেতা জালাল শেখ সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামের সুন্নত খার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪২) ও আবুল বাশার (৩৯), জয়নগর গ্রামের মুনছুর আলী শেখের ছেলে মাহফুজ আলী শেখ (৪০) ও আশাশুনির রাজাপুর গ্রামের মৃত মুজিবর রহমান ঢালীর ছেলে মোশাররফ ঢালী (৫০)।

নিখোঁজ শেফালীর মামা আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের বাবর আলী শেখের ছেলে আবুদ্দীন শেখ বাদী হয়ে গত ১/১১/২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল সাতক্ষীরা আদালতে ৫৭৮/২২নং মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সিআইডি সাতক্ষীরাকে দ্রæত তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে নাংলা গ্রামের রুহুল আমিন মোল্যার মেয়ে শেফালী খাতুনের গাবুরা গ্রামের সুন্নত খাঁর ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বরে শরিয়ত মোতাবেক রেজি: কাবীনমুলে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শফিকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে মামা শ্বশুর বল্লভপুর গ্রামের আবুদ্দীন শেখের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে শেফালীকে সেখানে রেখে চলে যায়। কিছুদিন পরে ০১৭৫২৪১৩১৩৬নং মোবাইলে আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত কাজল শেখের ছেলে জালাল শেখ ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামি মোশাররফ ঢালী শেফালীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শফিকুলের ভাই আবুল বাশার ও মামা মাহফুজুল শেখের সাথে ইট ভাটায় যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্যায়ে শেফালী মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন চুক্তিতে ইট ভাটায় যেতে রাজি হয়। কাজের উদ্দেশ্যে ইট ভাটায় যাওয়ার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে শফিকুল ফোনে যোগাযোগ করে শেফালীকে ইট ভাটায় না নিয়ে তাকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে দেয়। এর কিছুদিন পর গত ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে শফিকুল শেফালী খাতুনকে বিদেশে পাচার করে বাড়ীতে ফিরে আসে।

খবর পেয়ে মামা আবুদ্দীন শেখ শফিকুলের কাছে শেফালীর কথা জানতে চাইলে সে জানে না বলে তাকে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর শেফালীর কোন খোঁজ না পেয়ে ওই মামা আশাশুনি থানায় ১৫/০২/২০২০ ইং তারিখে ৬৫০নং একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এরপর গত ১/১১/২২ইং তারিখে বিকালে শেফালীর দেবর আবুল বাশারের বাড়িতে বাড়ীতে গিয়ে সকল আসামীদের সামনে নিখোঁজ শেফালীর কথা জানতে চাইলে সবাই মামা আবুদ্দীন শেখ কে মারতে উদ্যত হয়। তারা শেফালীকে আর পাওয়া যাবে না বলে প্রকাশ্যে আস্ফালন করতে থাকে।

এ ঘটনা উল্লেখ করে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি সাতক্ষীরার কর্মকর্তার কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত নব্য নেতা জালাল শেখ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। এঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মামলায় তার নামটি যুক্ত করতে পারে বলে তার ধারণা। নিরপেক্ষ তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version