নিজস্ব প্রতিনিধি: বসতবাড়ি এবং পারিবারিক কবরস্থান রক্ষার্থে ভেঙে যাওয়া পুকুরের পাড় বাধতে না দিয়ে স্থানীয় কুচক্রী মহল কর্তৃক পত্রপত্রিকায় মিথ্যাচার এবং হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন, সুলতানপুর গ্রামের মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা নাজনীন বেগম।
তিনি বলেন, সুলতানপুর মৌজায় ৫তলা ফাউন্ডেশনের একটি বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু বাড়ির সামনে আনুমানিক ৫০ শতক জমির উপর আমাদের একটি পারিবারিক পরিত্যাক্ত পুকুর রয়েছে। সম্প্রতি পুকুরের পাড়ভেঙে আমাদের বসতবাড়ি পুকুরে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া পুকুরের দক্ষিণ পাশের্^ রয়েছে আমার পিতা-মাতা এবং শ^াশুর শ্বাশুড়ীর কবর রয়েছে। পাড় ভেঙে মরদেহের অবশিষ্ট অংশও বেরিয়ে আসার মত হয়েছে। যে কারনে আমাদের বসতবাড়ী রক্ষার্থে পুকুরের পাড় বাধানোর জন্য মাটি ফেলা শুরু করি। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল আমাদের কাছে আর্থিক সুবিধার দাবি করে। তাদের দাবি পূরণ না করায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। যদিও পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের বসতবাড়ী রক্ষার্থে এবং কবরস্থান রক্ষাতে পাড় বাধানোর জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পাড় বাধাতেও বাধা দিচ্ছেন ওই মহলটি। ক্ষিপ্ত হয়ে পত্রপত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন পুকুরটি ভরাটের কোন সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা আমাদের নেই। শুধুমাত্র বসতবাড়ি এবং কবরস্থান রক্ষার্থে পাড়টি বাধানোর কাজ করছি। কিন্তু তারপরও ওই মহলটি হয়রানি করে যাচ্ছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরটি পরিত্যক্তা অবস্থায় রয়েছে। সেখানে মানুষ তো দূরের কথা, পশু পাখিও নামে না। তারপরও পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে আমার পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষন করে রেখেছি। কিন্তু তাই বলে পাড় বাধাতেও পারবো না এটি কেমন ব্যাপার। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এবং পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রচার করে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ওই মহলটি। তিনি বসতবাড়ী এবং কবরস্থান রক্ষার্থে যাতে পুকুরের পাড় বাধাতে পারি এবং ওই কুচক্রী মহলের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।