Site icon suprovatsatkhira.com

মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি: ভানসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ শ্যামনগরে যত্রতত্র অবৈধ ইটভাটা

জি এম মাছুম বিল্লাহ, সুন্দরবনাঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগরে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটা নির্মাণে মানা হয়নি সরকারি আইন। ফলে উপকূলের মানুষের বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি। ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়রা বলছেন ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে অবাধে এসব অবৈধ ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ কাঠ। জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের বিষয়ে অধ্যাদেশ নং ০২/২০১৮ দ্বারা সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি জমি (বছরে একাধিকবার কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়), প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা সদর, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করতে পারবে না। ইট প্রস্তুত ও ভাটা নির্মাণের এসব আইনকে উপেক্ষা করেই উপজেলার বেশিরভাগ ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানায় একাধিক সূত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাটা সংলগ্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা ও কৃষকেরা জানান, ইট ভাটা পোড়ানো কাঠের ধোয়ায় শিশু বয়োঃবৃদ্ধরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাটার ধোয়ায় চোখ জ¦ালা-পোড়া, কাশি, হাপানি ও শ^াসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে আত্রান্ত হচ্ছে।

এছাড়া ইটভাটা সংলগ্ন এবং তার পার্শবর্তী এলাকাগুলোর কৃষিতে ব্যপক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধসহ অন্যত্র স্থানান্তরের দাবিও জানান। এদিকে ইট ভাটা মালিকরা বলছেন, কয়লার মূল্য বৃদ্ধির ফলে কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছি। কাঠ পোড়াতে না পারলে ইটের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ইট ভাটার কিছু শ্রমিকের কাছ থেকে জানা গেছে, ভাটা মালিকরা বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার সচেতন মহলের দাবি, এই ইটভাটা গুলো উপজেলার চার সাইটে প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায়। ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ যদি নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে কাঠ কীভাবে জ্বালানো হয়। শ্যামনগর ইট ভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গাজী ব্রিকসের মালিক বকুল হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দেখা করে ম্যানেজ করার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমি এই সর্বপ্রথম আপনার কাছ থেকে শুনেছি এবং দ্রæত ব্যবস্থা নেব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version