Site icon suprovatsatkhira.com

নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনির প্রতাপনগরে খোলপেটুয়া নদীর নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৪ হাজার বস্তা রেডি থাকলেও বাঁধে না দেওয়ায় ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সকল বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ জানান, গত সোমবার রাতে খোলপেটুয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে হরিশখালি ¯øুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে প্রায় ৩০০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুই শতাধিক মানুষ সাথে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে কান্ট্রি সাইটের ¯েøাবের গা ঘেঁষে মাটি ও বস্তা দিয়ে প্রাথমিকভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে। ওই রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ তালুকদার সাহেব কে অবহিত করলে পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকল্প রিং বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সে মোতাবেক বস্তা ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

এস ও আলমগীর হোসেন জানান- বাঁধটি ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাহিদ জিও টেক্সটাইল এর মালিক সুজাউদ্দীনের অধীনে কাজ চলমান রয়েছে। গত সপ্তাহে আমরা ৪ হাজার জিও ব্যাগ গণনা করে ডাম্পিং করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সময়মতো কাজ না করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা বিকল্প রিং বাঁধ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে নদী ভাঙন রোধে বস্তা ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। আপাতত ভাঙনের কোন ভয় নেই।
স্থানীয় লোকজন জানান- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ধীরগতির কারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শীতে নদীর স্রোত কম থাকে। তাই এর মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে পারলে আমরা নিরাপদ বোধ করতাম। কিন্তু সব ঠিকাদার তাদের ইচ্ছা মতো কাজ করে চলেছেন। এখন নদীতে ফের জোয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রতাপনগরের সব বেড়িবাঁধের চলমান কাজ অনতিবিলম্বে শেষ করতে হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জোর তাগিদ দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করিয়ে নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version