তালা প্রতিনিধি : সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তালার মো. মুনসুর আলী শেখ (৫৫) পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসেছে। প্রায় ১৬ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় একটি চোখ একেবার অন্ধ হয়ে যায় তার। এ সময় তার হাত, পা ও নাক ভেঙে পঙ্গু হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বেঁচে উঠলেও পঙ্গুত্বের শিকার হন তিনি। তার সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা টাকার অভাবে হচ্ছে না। হতভাগ্য মুনসুর আলী তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটী গ্রামের মৃত. নবজান আলী শেখের পুত্র।
আহত বেবিট্যাক্সি চালক মুনসুর আলী শেখ জানান, ২০০৭ সালের ১৫ জুন রাতে আঠারোমাইল হতে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে তালা সদরে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় শাহাপুর বটতলা এলাকায় একজন যাত্রীকে নামানোর জন্য তিনি ট্যাক্সি দাঁড় করান। এ সময় পাইকগাছা থেকে আঠারোমাইলগামী একটি মাছের পিকআপ (খুলনা মেট্রো- ম-১১-০০১৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার বেবিট্যাক্সিকে (যার নং ঢাকা মেট্রো- খ-১১-১৫৯৪) ধাক্কা দেয়। এ সময় বেবীট্যাক্সির একজন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত হয় বেবীট্যাক্সি চালক মুনসুর আলীসহ কয়েকজন যাত্রী। বেবীট্যাক্সি চালক মুনসুর আলীর ডান চোখ ও ডান পা চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় মুনসুর আলীকে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ভারতে চিকিৎসা নিতে ভিটেবাড়ি, গরু-ছাগল বিক্রি করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে নিঃস্ব হতে হয়। তারপরও যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় বর্তমানে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসেছেন তিনি।
মুনসুর আলী আরও বলেন, সেই ঘাতক পিকআপের সন্ধান আজও মেলেনি। তাদের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতিপূরণও পাননি তিনি। উল্টো কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা পিকআপ মালিকের সাথে আতাত করে তাকে বিপাকে ফেলতে হয়রনীকর মামলা করে। পরবর্তীতে আদালত উক্ত মামলা খারিজ করে দেয়। এমনভাবে সাংবাদিকদের কাছে তার নিদারুণ কষ্টের কথা তুলে ধরেন মুনসুর আলী। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। সঠিক চিকিৎসার নিয়ে সুস্থ হবার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন মুনসুর আলী। এজন্য বিকাশসহ ০১৯৫৪৬৪৫৪১৫ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।