শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা: ধর্ম আত্মীয়তার সুবাদে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫শত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি ও তার পরিবার। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম সহ তার পরিবারের ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী।
অনেক গুলো অর্থ ব্যায় করেও ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে না পারায় অভিযুক্তদের কাছে বারবার অর্থ,পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেরৎ চাওয়ায় প্রতিনিয়ত টালবাহানা সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি। ঝিকরগাছা থানার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ইদ্রিস আলীর পরিবারের সাথে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের দীর্ঘদিনের ধর্মীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিলো।
সেই সুবাদে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবার ইদ্রিস আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। আত্মীয়তার সুবাদে সাইফুল ইসলাম ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ইতালী পাঠানোর নাম করে শার্শা থানাধীন এন সিসি ব্যাংক বাগআঁচড়া শাখা হতে নগদ ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং বিকাশ ও নগত ক্যাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫শত টাকা দেয়। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হলে টাকা চাওয়া শুরু করে ইদ্রিস আলী।
এক পর্যায়ে টাকা, পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেরৎ দিবেনা বলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সরলতার সুযোগ নিয়ে এভিড এভিড করার নামে খালী স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। পরবর্তীতে মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে উল্টো মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে। ইদ্রিস আলী তার ছেলেকে নিয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গত ০৪/০১/২০২৩ তারিখে টাকা,পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র চাইতে গেলে ইদ্রিস আলী ও ছেলেকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী এলাকার সচেতন মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েও কোন সমাধান না পেয়ে ঝিকরগাছা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো, বাগআঁচড়া গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), মোসলেম আলী ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম এবং কুলবাড়িয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম শিমুল (৩২)। অভিযোগকারী ইদ্রিস আলী কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত নূর আলী মন্ডলের ছেলে।
অভিযোগকারী ইদ্রিস আলী বলেন, ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর খপ্পরে পড়ে আমি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে আনিত অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন,এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।