সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনিতে চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান। আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সিনি. মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার।
স্থানীয় চিংড়ি চাষী ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেনামি চিংড়ি চাষের ভারতীয় বিশেষজ্ঞ দিপন বিশ্বাস।
বক্তারা বলেন বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ আরম্ভ হয়নি। আমাদের বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন খরচ ভেনামির তুলনায় অনেক বেশি। ফলে কম মূল্যের ভেনামির সাথে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হয় এবং ভেনামি চিংড়ির মূল্যেই লোকসান দিয়ে রপ্তানি করতে হয়। দেশীয় প্রজাতি বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন হওয়ায় আমাদের রপ্তানি শিল্পের প্রধান সমস্যা বর্তমানে সেমি ইন্টেন্সিভ পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন সর্বোচ্চ ১৫০০ কেজি। অথচ ভেনামির উৎপাদন সর্বনিম্ন ৫০০০ কেজি। বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ২,৫৮,৫৫৩ হেক্টর। সুতরাং বেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের চিংড়ি উৎপাদন প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতে চিংড়ি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে।