ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
মৃৎশিল্পের কারিগররা গুড়ের ভাঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে
কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোরদো ও দেয়াড়া গ্রামের পালপাড়ার কারিগররা মাটির তৈরি গুড়ের ভাড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এই অঞ্চলের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় রাখার জন্য বেশি বেশি মাটির তৈরি ভাড় ব্যবহার করা হয় । এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঐতিহ্যবাহী খেজুর রসের গুড় সরবরাহ করা হয়। তাই পাল মশাইরা শীতের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। তারা তাদের নিজস্ব নকশা ও সাইজে নামকরণ করে এসব ভাড় তৈরি করেন। কেউ নাম দেন গলা লম্বা ভাড় । আবার অনেকেই নাম দেন গোপাল ভাড়। এ ছাড়াও আকারও সাইজের দিক দিয়ে নামকরণ করা হয় কলস ভাড়। তবে কলস ব্যবহার করা হয় পানি সংরক্ষণ করার জন্য ও পানি বহন করার জন্য । আর ভাড় ব্যবহার করা হয় খেজুরের রস ও গুড় ইত্যাদি সংরক্ষণ করার জন্য। যশোর সাতক্ষীরা অঞ্চলজুড়ে এই খেজুেরর গুড়ের বেশ সুনাম রয়েছে। মোটকথা খেজুরের রস ও গুড় রাখার জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। সব গাছীরা ভিন্ন ভিন্ন কারিগরদের ভাড় ব্যবহার কওে থাকেন। খোরদো পাল পাড়ায় কোয়েল রঞ্জিত পাল ভাড়ের পাশাপাশি আরও তৈরি করেন সরা, মালশা সহ মাটির তৈরি বিভিন্ন রকমের পাতিল। যেহেতু এখন খেজুর রসের সময় হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন শিল্প কাজে। ল²ী দেবীর সাথে কথা বলে জানা যায় এই সময় তাদের ভরা মৌসুম তারা বিভিন্ন সাইজের ভাড় তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং এটা বাজারে বিক্রি করে ভালো মানের মুনাফা অর্জন করছে। অপরদিকে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের পাল পাড়ার সন্ধ্যা রানী পাল জানান বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি হওয়ায় মাটির কাজ করে সংসার চালাতে হিমশিম হয়ে যাচ্ছে। যদি সরকার আমাদের এই কাজের উপর আর্থিক সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের বাপ-দাদার শিল্পটি ধরে রাখতে পারব। 8,573,081 total views, 851 views today |
|
|
|