নিজস্ব প্রতিনিধি: শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস-২০২২ উপলক্ষে ’৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যায় বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে।
’৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন সংগঠণটির সদস্য সচীব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, বাসদ নেতা কমঃ নিত্যানন্দ সরকার, কমঃ অ্যাড. খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, সাংস্কৃতিক কর্মী হেনরী সরদার, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা মন্দির সমিতির সহসভাপতি স্বপন কুমার শীল, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কবি রুবেল, রওনক বাসার. মকবুল হোসেন, উদীচির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুরেশ পাÐে, আলী হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতিকে মেধাশুন্য করতে বাংলাদেশের বিশিষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যে স্মৃতি কখনো ভোলার নয়।স্বাধীনতার ৫১ বছরের পরও সাতক্ষীরা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দীনেশ কর্মকারের ভিটায় ১৯৭১ সালে রাজাকার ও আলবদরদের সৃষ্ট জেলার সবচেয়ে বড় গণকবর আজো চিহ্নিত করা হয়নি। নির্মাণ করা হয়নি স্মৃতিসৌধ। সরকারিভাবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বধ্যভূমি সংরক্ষণে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ঠ দুর্বল। যে কারণে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে পরপর দুইবার প্রতীকি স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়ে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। এ বধ্যভূমি সংরক্ষণে একজন মুক্তিযোদ্ধা সাংসদসহ দুইজন সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। সদরের ঝাউডাঙা, মাহমুদপুর, বাঁকাল, সুলতানপুর সাহাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমিগুলি আজো সংরক্ষণ করা হয়নি। এ ছাড়া পৌর মেয়রের আশ্বাস স্বত্বেও বধ্যভুমির পাশে অবস্থিত ডাষ্টবিনটি নোংরা আবর্জনা দিয়ে ভরাট রেখে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।
আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বধ্যভূমিতে প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।