শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ: অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক, দার্শনিক, আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছুফীসাধক ওলী-এ কামেল হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নলতা পাক রউজা শরীফ প্রাঙ্গণে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নলতা আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ সেলিমউল্লাহ।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিশিষ্ট সাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর বাংলাদেশের ইতিহাস অভিন্ন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রায় সব আন্দোলনই অঙ্কুরিত হয়েছিল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাঙ্গণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অবদান ও সম্পৃক্ততা ছিল অনস্বীকার্য। সেমিনারে বক্তারা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার (র.) জীবনদর্শন, দূরদর্শিতা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড সম্পর্কে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বিভিন্ন শাখা মিশনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার শেষে মুসলিমউম্মাহ, দেশ ও জাতির সম্মৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু সাঈদ ।