নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের নয়াবাদ ও পশ্চিম ফটিকখালীর পল্লীতে প্রায় শত বছর পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সার্বজনীন শ্মশানঘাট নির্মাণ কাজর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার( ১৮ ডিসেম্বর) সকালে খাজরা ইউনিয়নের ৪নং নয়াবাদ ও পশ্চিম ফটিকখালী গ্রামে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম প্রধান অতিথি হিসেবে এ সার্বজনীন শ্মশানঘাট নির্মাণ কাজের শুভ উদে¦াধন করেন।
উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সাতক্ষীরা জজ কোর্টে আইনজীবি সহকারী শুশান্ত বাছাড়ের সঞ্চলানায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,এই অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দু সম্পদ্রায়ের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল তাদের একটি স্থায়ী পাকা শ্মশানঘাট নির্মানের। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং নির্মাণ কাজে আরও সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, সরকারি খাস খতিয়ান হতে প্রায় ১ বিঘার জমির উপর এ শ্মশান ঘাট নির্মাণ হবে। সুবিধা বঞ্চিত এই অঞ্চলের কথা মাথায় রেখে কাপসন্ডা বাজার হতে বাইনতলা সাইক্লোন শিল্টারগামী রাস্তাটি প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা ৩ আসনের মাননীয় এমপি মহোদেয়র মাম্যমে বাজেট করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শ্মশান ঘাট উদ্বোধনকালে শিক্ষক ভবসিন্ধু সরকার,ধনঞ্জয় কুমার বাছাড়,চিত্তরঞ্জন,অরুন কুমার বাছাড়,মনোরঞ্জন সরকারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মুরারী মোহন জানান,আমাদের বাপ দাদাদের আমল থেকে আমাদের এখানে স্থায়ী কোন শ্মশানঘাট ছিল না। আমাদের কেউ মারা গেলে আমার পাশ^বর্তী শ্মশানঘাট বা অস্থায়ী শ্মশান ঘাটে মৃত দেহ দাহ করতাম। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের সহযোগিতায় আমাদের সেই দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে।
বয়ঃবৃদ্ধ সুধীর মন্ডল জানান,আমাদের এই এলাকাটির চারপাশে লবন পানির মৎস্য ঘের হওয়ায় আমার খাবার পানির খুব সমস্যা হয়। আমাদের শ্মশান ঘাট এবং রাস্তার নির্মানের পাশাপাশি সুপেয় খাবার পানির চাহিদা পূরনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
শ্মশানঘাট উদ্বোধনকালে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,ইউনিয়নের এই গ্রামটিতে প্রায় ২হাজারের মত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাতায়াতের কোন পাকা রাস্তা নেই। খাবার পানির তীব্র সংকটতো আছেই। লবন পানির কারনে এবার ফটিকখালী বিলে এক ফসলী আমন ধানের ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিঘা বিঘা জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলানো আছে। একামাত্র কারন হিসেবে দেখা যায়,পর্যাপ্ত পানি নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। কালকীর ¯øুইজ গেটে পলি পড়ে ভরে গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি শিঘ্রই তাদের পানি নিঃষ্কাশন ব্যবস্থাসহ সুপেয় খাবার পানির চাহিদা মিটাতে পর্যাপ্ত পরিমান রেইন ওয়াটার সিস্টেম হার্ভেস্টিং ব্যবস্থা গ্রহন করা।