নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু তাহের তিন দিন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় তপশীল ঘোষিত তিন দিনেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি ২১ জন অভিভাবক। বুধবার দুপুরে এ নিয়ে সংশি¬ষ্ট মাদ্রাসার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের কাছে গেলে তিনি অভিযোগ না নিয়ে অভিযোগকারিদের ফিরিয়ে দেন।
এদিকে তিন দিনে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে না পেরে প্রতিকার টেয়ে ২১ জন অভিভাবক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে বুধবার বিকেলে অভিযোগ করেছেন। আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবক আসাদুৃর রহমান, আব্দুস সবুর ও জিয়ারুল ইসলাম জানান, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু তাহেরের মাধ্যমে সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেন প্রিজাইডিং অফিসার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান। প্রখম দিন সুপার মাদ্রসায় উপস্থিত না থাকায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না পারার বিষয়টি প্রিজাইডিং অফিসারকে জানানো হয়। তিনি পরদিন তার প্রতিনিধি পাঠাবেন বলে কথা দেন। বিষয়টি পরদিন কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হয়। তবে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর আবু তাহের প্রতিষ্ঠানে আসেননি। মঙ্গলবার ও বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত তারা ২১ জন অভিভাবক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১১টায় মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি বুধবার দুপুরে অফিসে যেয়ে প্রিজাউডিং অফিসার জাহিদুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তা গ্রহণ না করে তাদেরকে ফিরিয়ে দেন। বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত সুপার আবু তাহের না আসায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না পেরে বিকেলে তারা ২১ জন অভিভাবক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত,গত ২ জানুয়ারি এ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ঘোষিত নির্বাচন তপশীল অনুযায়ি ৯,১০ ও ১১ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে বিকেল টারটা পর্যন্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ আবু তাহেরকে মনোয়নপত্র বিতরণ ও জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও ওই তিনদিন তিনি অফিসে আসেননি। একপর্যায়ে আইনিপ্রক্রিয়ায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আড়–য়াখালি পায়রাডাঙা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু তাহের বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা হওয়ায় কয়েকজন এ মনোনয়ন কিনেছেন। তবে তিনি তিনদিন না আসার কথা স্বীকার করে বলেন, যারা মনোনয়ন কিনেছেন তারা যে কোন ভাবে সংগ্রহ করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা অভিভাবকদের অভিযোগের কপি বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাতে পাননি উলে¬খ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, এখনই তিনি সংশি¬ষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।