ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়ার ১ নং জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া মিশনে শুভ বড় দিন উদযাপন করেছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়। শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বড় দিন ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় কেক কাটা ও আলোচনা সভার।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নিখাঁদ ভালোবাসাই পারে এ জগত বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। অসম্প্রাদায়িক চেনতায় শন্তির বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নেই। সবার প্রতি সবার ভালোবাসাই হল বড়দিন। দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকাই হল বড়দিন। বিশ্বব্যাপী সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি হোক। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোর মানুষের শান্তি বজায় থাকুক।
গতকাল রবিবার রাত ৮ টায় বড় দিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তালা-কলারোয়ার এমপি এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ^াস, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিক্ষক এমপি পতœী নাসরিন খান লিপি, জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আজিজুর রহমান প্রমুখ। এদিকে বড় দিন ঘিরে খ্রিস্টানদের বাড়ি বাড়ি চলছে নানা উৎসব।
ক্রিসমাস ট্রি থেকে ঝুলছে আলোর মালা। বানানো হয়েছে খ্রিস্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গোশালা। সেই সঙ্গে বড় দিনের কেক তো আছেই।
খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারক যিশু খ্রিস্টের জন্মকাহিনি বড়দিনের উৎসবের মূলভিত্তি। ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেম শহরে কোনো এক আস্তাবলে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “আমরা এমন এক দিন বড়দিন উদযাপন করছি, যখন ইউক্রেইনে যুদ্ধ চলছে। বিশ্বের অনেক জায়গায় হানাহানি চলছে। এ সমস্ত দেশে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে মানুষ যেন সম্পূর্ণ মুক্ত হয়; এই উদ্দেশ্যে আসুন আমরা প্রার্থনা করি।”
এর আগে গীর্জায় বসে মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি এবং জগতের সব মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলের বেথলেহেম শহরে জন্ম নেন। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার ও মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য ঈশ্বর যিশুকে মানবরূপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন বলে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস।
বড়দিন উপলক্ষে গতকাল রবিবার ছিল সরকারি ছুটি। উৎসব নির্বিঘœ করতে গির্জগুলোতে একাধিক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। নিরাপত্তার এই আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।