মীর খায়রুল আলম : দেবহাটার নোড়া-চারকুনি ভূমিহীনদের সভায় বক্তরা বলেছেন, সরকারি খাস জমি ভূমিহীনদের অধিকার। তাই সরকারের খাস জমি নোড়া-চারকুনি এলাকায় ২০০৭ সাল থেকে ভূমিহীনরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। আমরা কোন সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার সাথে কখনোই ছিলাম না। আগামীতেও আইনের প্রতিশ্রদ্ধা রেখে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কোন দাললকে ভূমিহীন মানুষদের নিয়ে খেলা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক একটি চক্র আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দেড় হাজার টাকা তুলছেন প্রতিটি পরিবার থেকে। যেখানে সরকার ভূমিহীনদের জমি ও ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন তখন স্বার্থন্বোষী গ্রæপ ভূমিহীনদের শোষন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আমরা আর তাদের ব্যবাহার হব না আর অন্যদের পুঁজি করে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। সাবেক সভাপতি আব্দুল গফ্ফার ভূমিহীনদের জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। বক্তরা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃতদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবি করেন। সমাবেশে বক্তরা আরো দাবি করেন, সরকারি জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে হবে। রিসিভার না দিয়ে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সুষ্ঠ ভাবে দলিল হস্তান্তর করতে হবে। একই সাথে যারা ভূমিহীনদের নিয়ে যারা নানা সুবিধা ভোগ করে আসছে তাদেরকে পরিত্যাগ করার কথা বলেন বক্তরা। সাবেক সভাপতি আব্দল গফ্ফারের করা মামলার প্রেক্ষিতে জিপি লুৎফর রহমান সংশ্লিষ্টদের ভুল বুঝিয়ে সরকারের কাছ থেকে রিসিভার নিয়েছেন।
কিন্তু আমরা রিসিভার চাই না। আমরা সরকারি জমিতে ভূমিহীনদের অধিকার বাস্তবায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় নোড়া-চারকুনি ভূমিহীন পল্লী মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নোড়া-চারকুনি ভূমিহীন কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে দেবহাটা উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি কমরেড অদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শেখ শওকাত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ তাজুল ইসলাম, লাবসা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, ভূমিহীন নেতা আমজাদ হোসেন, ইয়াদ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মোকারম আলী, বাবু রাম মন্ডল প্রমুখ।