Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় কৃষকরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় আমন ধানকাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ হয়েছে। তাই এরই মধ্যে বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমি তৈরি ও বীজ বপনে তারা ব্যস্ত। দুই ফসলি জমিতে আবাদ করা যাচ্ছে তিন ফসল। কলারোয়ায় বোরো আবাদকে ঘিরে উচ্চফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। বেশি ফলনের আশায় এ ধান চাষ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আর উৎপাদন বেশি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলায় আমন মৌসুমে স্বল্প সময়ের উচ্চফলনশীল জাতের ধান বেশি চাষ করা হয়েছে। এতে বেশি ফলন পাওয়ায় কৃষকরা খুব খুশি।

আরো বেশি লাভবান হওয়ার জন্য বোরো ধান চাষে উচ্চফলনশীল জাতের বীজ বপন করছেন। বীজতলা তৈরির জন্য জমি প্রস্তুত করে বীজ বপন করছেন। উপজেলায় বীজের দোকানগুলোতে বেড়েছে কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল উন্নত জাতের বোরো ধানের বীজ কেনার হিড়িক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া জানান, উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষ করে কৃষকের ফলন ভাল হওয়ায় এবং বাজারে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, মাঠে গিয়ে বীজতলা তৈরি ও চাষের জন্য নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাই কম হলে ভালো ফসল পাবেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানাগেছে, বিগত বছরের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হয়।

ফলে এবারও কৃষকেরা ব্রি-২৮, রড সুপার, সুপার ৬৩ সহ প্রভৃতি জাতের ধানচাষে ঝুঁকে পড়েছে। এছাড়া এসব জমিতে নতুন নতুন জাতের জিরাশাইল, পারিজা, বিনা-২৮,২৯, ৫০ এবং বিআর-১০ জাতের ধান রোপন করার কথাও জানান স্থানীয় কৃষকেরা। এ বিষয়ে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের নাসির শেখ ও চন্দনপুর ইউনিয়নের হোসেন আলী জানান, বোরো আবাদের জন্য বীজতলা বপনের জন্য জমি তৈরি করছেন। বেশি ফলনের জন্য উচ্চফলনশীল জাতের বীজ বপন করবেন তারা। এতে কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে। দুই ফসলের জমিতে তিন ফসল আবাদ করা যায়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এজন্য ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে কর্মকর্তরা বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। সরকারিভাবে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আলু সরিষাসহ অন্যান্য রবিশস্য তোলার পর আরো কিছু জমিতে বোরোধান রোপণ করা সম্ভব হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version