Site icon suprovatsatkhira.com

ঝাউডাঙ্গায় পুরাতন ব্রিজ সংস্কারের নামে রং করে কয়েক লাখ টাকা লোপাট খোঁজ রাখে না এলজিইডি

আব্দুস সালাম ঝাউডাঙ্গা : আরসিসি গার্ডার ব্রিজ সংস্কারের চুক্তি থাকলেও পুরাতন ব্রিজে শুধুমাত্র সাদা রং টেনে ও ব্রিজের দুই পাশে কয়েকটি গোল পাঁকা খ্ুঁটি পুঁতে রাতারাতি কাজ শেষ দেখিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে চলে গেলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এমনটায় অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা সহ পথচারীরা । তবে এসবের খোঁজই রাখেন না সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের সীমান্ত অভিমুখে ঝাউডাঙ্গা পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্নে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস নামের এক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৬.৭মিঃ ব্রিজ সংস্কারে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪শত ৫২টাকা চুক্তিমূল্যে কাজ পায় বাগেরহাট এলাকার ইদ্রিস আলী নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। রবিবার (৬ নভেম্বরের) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন ব্রিজটি যে অবস্থায় ছিল, শুধুমাত্র একদিনে ও সেই রাতারাতি ঠিকাদার ব্রিজের ফাটল ধরা রেলিংয়ে সাদা রং টেনে ও ব্রিজের দুইপাশে কয়েকটি রং করা পাঁকা খুঁটি প্ুঁতে ব্রিজটির ওপর যেমন তেমন করে পিচ পাথর ঢেলে সমান করে কাজ শেষ দেখিয়ে বরাদ্দের সাইনবোর্ড পুঁতে রেখে রাতারাতি ঠিকাদার উধাও। তবে সাইনবোর্ডে চুক্তিমূল্য দেখানো হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭শত ৮৯টাকা।

আবার পুরাতন ব্রিজের রেলিংয়ে ফলক তৈরি করে সেখানে চুক্তিমূল্য লেখা হয়েছে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪শত ৫২টাকা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ব্রিজ সংস্কারের নামে এখানে বড় অংকের সরকারি অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। গোবিন্দকাটি গ্রামের মন্টু নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি সকালে হাটে চারা গাছ বিক্রি করে রাতে বাড়ী ফেরার সময় দেখি পুরাতন ব্রিজ রংচঙ করে নতুন করা হয়েছে।’ একই এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর ও মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, এ ব্রিজটির বয়স প্রায় ৭০ বছর হচ্ছে। দীর্ঘদিন ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। ব্রিজের নিচের অংশে ও রেলিংয়ে ফাটল ধরায় এ সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই পুরাতন ব্রিজটি সংস্কারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। তবে এখানে সংস্কারের নামে যে অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে সেটি এখানে সুস্পষ্ট। তাই উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বাগেরহাট এলাকার ঠিকাদার ইদ্রিস আলী বলেন, একাজের কাগজে আমার নাম থাকলেও কাজ করেছেন অন্যজন। আমার কাছ থেকে লাইসেন্স চেয়ে নিয়ে কাজ করেছেন ইলিয়াস নামের একজন ব্যক্তি। তাই এবিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা। সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, এ কাজটি তদারকির দায়িত্ব ছিল আমার পূর্বের প্রকৌশলী সফিউল আজমের। কিন্তু তিনি ২মাস হলো বদলি হয়ে গেছে। আমি নতুন এসেছি তাই এ কাজের বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে তিনি কাজটি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস প্রদান করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version