নিজস্ব প্রতিনিধি : সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের হুমকি দেওয়া এবং ঘুষ প্রদানের অভিযোগে জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী নাজমুন্নাহার মুন্নি ০৭ নভেম্বর ২২ তারিখে সাতক্ষীরা সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং সি আর ১৩৩৯/২২(সাত)। ধার্য্য তারিখ ১৮ জানুয়ারী ২০২৩।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সুলতানপুর গ্রামের মরহুম এড শেখ আসিফ ইকবাল হীরকের স্ত্রী নাজমুন্নাহার মুন্নি তার প্রতিদ্ব›িদ্বতা প্রার্থী ছিলেন, পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত এস এম আবু নেছার সিদ্দিকের কন্যা শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি মরিয়া হয়ে ওঠেন এবং ভোটারদের বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শনকরাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিলেন। একপর্যায়ে নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটার প্রতি ৭ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। এমনকি স্থানীয়সহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রচারিত হয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী মুন্নী প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি। যা নির্বাচনী আচরন বর্হিভ‚ত এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
এদিকে, শাহনেওয়ান পারভীন মিলির বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকায় সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। এছাড়া জেলা পরিষদের গত মেয়াদে সংরক্ষিত সদস্য থাকায় প্রভাব খাটিয়ে কথিত বেস্ট টীম নামে একটি ভুইফোড় সংগঠনের নামে জেলাব্যাপি ভাংচুর,লুটপাট এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সে সময় একটি চুরির মামলায় দীর্ঘদিন জেলহাজতও খেটেছেন মিলি। এবারও অবৈধ টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনে এবং হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী নাজমুন্নাহার মুন্নি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।