Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে পাইকগাছার প্রতারক মিতা আক্তার আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে মিতা আক্তার হনুফা নামে প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করে থানাপুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। সে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার গজালিয়া গ্রামের গাউছুল আলম ভুট্টোর স্ত্রী। এসময় তার সহযোগী আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের ডুমুরপোতা গ্রামের করিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম গাজী (২৭) কৌশলে পালিয়ে গেছে।

প্রতারক মিতা গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের কাছে নিজেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে চাকরী করেন পরিচয় দিয়ে তাদের সমিতি করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র চেয়ে নেন। সদস্যদের গরু/ছাগল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০৬০ টাকা করে উত্তোলন করছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিতার সহযোগী ইব্রাহীম গাজীর বাড়ি থেকে টাকা উত্তোলন করা অবস্থায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা প্রতারক মিতাকে আটক করে। স্থানীয় চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে জানতে পারেন তারা ভুয়া পরিচয় দিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ইব্রাহিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে মিতাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এঘটনায় মহাজনপুর গ্রামের তারিকুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী আজমিরা খাতুন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় উপরোক্ত দুই প্রতারককে আসামি করে এজাহার দাখিল করেছেন। তিনি বলেন- মিতা গতবছরের ১৫ অক্টোবর সহযোগী ইব্রাহিমকে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে নিজেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কর্মী বলে দাবী করে। ১০৬০ টাকা দিয়ে সমিতির সদস্য হলে তারা গরু-ছাগল দেওয়ার কথা বলে। সে মোতাবেক আমার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে আমাকে ৩টি গরু দিবে বলে ৩৮০০ টাকা নেয়। পরে জানতে পারি তারা মধ্যম চাপড়া গ্রামের রবিউল সরদারের স্ত্রী মাসুমা খাতুন, সাইদ সরদারের স্ত্রী আনজিরা খাতুন, ইব্রাহিম সরদারের স্ত্রী মমতাজ খাতুন, হায়দার গাজীর স্ত্রী পারুল খাতুন, মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী নাজমা খাতুনের কাছ থেকে একই কথা বলে ১০৬০ টাকা হারে উত্তোলন করে পরে আসবে বলে চলে যায়। কিন্তু এক বছর অতিক্রান্ত হলেও তারা আর আসেনি।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে জানতে পারি প্রতারক মিতা ডুমুরপোতা গ্রামের তার সহযোগী ইব্রাহীমের বাড়িতে এসে আবারও একই কথা বলে টাকা উত্তোলন করছে। বিষয়টি বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানাকে জানালে তিনি ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী ও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে প্রতারক মিতাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান- মিতার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version