নভেম্বর ২, ২০২২
খাজরায় জরাজীর্ণ ভেড়ি বাঁধ ঝুঁকিতে এলাকা বাসী
নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরাজীর্ণ ভেড়িবাঁধ সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। খাজরা বাজার সংলগ্ন পশ্চিম খাজরা হতে আমাদী খেয়াঘাট ও গদাইপুর কাছাড়ীবাড়ি হতে ভৈরবের বাড়ি পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ন ভেড়িবাঁধ গুলো সংস্কারের আশ^াস থাকলেও সংস্কারের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। যার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসরত জেলে পল্লীর বাসিন্দা,মৎস্যখামারীরা চরম আতংকে দিন পার করছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার পত্র পত্রিকায় নিউস প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। বুধবার ( ২ নভেম্বর) সকালে খাজরা বাজার সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২ নং পোল্ডার ঘুরে দেখা যায়,পশ্চিম খাজরার রাজবংশীপাড়া হতে আমাদী খেয়াঘাট পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাঁধটি মারাত্বক ঝুকিপূর্ন হয়ে আছে দীর্ঘদিন। কোথাও কোথাও একহাতের মত রাস্তা আছে। অথচ এই রাস্তাটি প্রায় ছয় মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড আশাশুনি ও জাইকার কর্মকর্তারা মাপ জরিপ করেছিল। সেই সময়ে জাইকার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছিল একমাসের মধ্যে ২০০ হাত জরাজীর্ণ ভেড়িবাঁধ দ্রæত সংস্কার করা হবে। কিন্তু সেই থেকে আর সংস্কারের উদ্যোগ দেখা যায়নি। এদিকে গদাইপুর ¯øুইজগেট সংলগ্ন ভেড়ি বাঁধটি দুই মাস আগে অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে বাঁধ ভেঙে মৎস্য ঘেরে পানি প্রবেশ করেছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরের সমন্বয়ে প্রাথমিক ভাবে বাঁধটি আটকানো হয়েছিল। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড আশাশুনি থেকে ২শ বস্তা জিও ব্যাগ দিয়ে কোন রকম জোড়াতালি করে বাঁধটি আটকানো অবস্থায় আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আশার বাণী ছিল দ্রæত বাঁধটি সংস্কার করা হবে। কিন্তু আজ অবধি সেখানে কোন কাজের অগ্রগতি দেখা যায়নি।
খাজরা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামপদ জানান,আমরা খাজরা গ্রামের কাচাঁমাল ব্যবসায়ীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাজরা ওয়াপদার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি। আমরা মালামাল নিয়ে ভ্যান যোগে পৌঁছাতে পারি না। এছাড়াও আমাদের ছেলেমেয়েরা খাজরা হাইস্কুলে আসতে খুবই অসুবিধা হয়। আমরা দ্রত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। 8,283,076 total views, 4,717 views today |
|
|
|