নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএসএফ এর গুলিতে এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার ভোর তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খৈতলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। তবে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ গুলি করার কথা অস্বীকার করেছে। নিহতের নাম হাসানুর রহমান (২৭)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কুশখালি গ্রামের মক্তব মোড়ের হায়দার আলীর ছেলে ও এক সন্তানের জনক।
কুশখালি গ্রামের হায়দার আলী জানান, শনিবার রাত ১০ টার দিকে ছেলে হাসানুর তার কাছে কিছু টাকা চায়। কাছে টাকা না থাকার কথা বলায় সে পার্শ্ববর্তী বাজারে চায়ের দোকানে যাচ্ছে বলে চলে যায়। খৈতলা সীমান্তের শূন্য রেখায় ভারতীয় দুবলী ক্যাম্পের বিএসএফ হাসানুরকে গুলি করে ফেলে রেখে গেছে মর্মে তিনি রবিবার ভোর ৫টার দিকে মোবাইলে খবর পান। স্থানীয়রা তাকে রবিবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। সেখান থেকে এম্বুলেন্সে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল৭ টা ২০ মিনিটে ডুমুরিয়া নামক স্থানে হাসান মারা যায়।
তবে নিহত হাসানের শ্বশুর সদর উপজেলার ঘোনা মোল¬াপাড়ার সাইফুল ইসলাম জানান, তার জামাতা হাসানুর ভারতীয় চোরাই পণ্য আনা নেওয়ার জন্য পাসিংম্যান হিসেব কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদকের মামলাও রয়েছে। মাসের এক সন্তানের জনক সে। শনিবার রাতে সে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আনার জন্য পাসিং ম্যানের দায়িত্ব পালন করতে সীমান্তে অবস্থান করছিল। দুবলী ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে গুলি করেছে মর্মে তিনি জেনেছেন। সাইফুল ইসলাম আরো জানান, তার মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিনের কালে আট মাসের রিফাত আমিন এক শিশু পুত্র রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, হাসানের পেটের ডান দিকে গুলিবিদ্ধ হয়। তবে খুলনায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, কালিয়ানি সীমান্তের খৈতলায় বিএসএফ’র গুলিতে হাসানুর নামের এক বাংলাদেশীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার দুপুর দু’টোয় কালিয়ানি ও ভারতের কৈজুড়ি সীমান্তের শূন্য রেখা বরাবর বিজিবি ও বিএসএফ এর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ হাসানুরকে গুলি করার কতা অস্বীকার করেছে। তবে নিহত হাসানুর অবৈধপথে আনা ভারতীয় পণ্য পাসিং এর কাজ করতো বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।