Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরের সেই এপোলো হাসপাতালে অভিযান

গাজী আল ইমরান, নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরে বেসরকারি হাসপাতাল এপোলোতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বেলা ৫ টায় শ্যামনগর সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে ক্লিনিকের নিবন্ধন নবায়ন না থাকা, সার্জারীর জন্য বৈধ অপারেশন থিয়েটার না থাকা, মেডিকেল অফিসার না থাকা এবং পর্যাপ্ত ডিপ্লোমাধারী নার্স না পাওয়ার সত্যতা মেলে।এসময় হাসপাতালের পরিচালক কথিত ডাক্তার শাহজাহান সিরাজ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেন।

শ্যামনগর এপোলো হাসপাতালে একজন বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে উপজেলা ব্যাপি ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হয়। এরপর এপোলো হাসপাতালের অনুমোদন, পরিচালকের নামের পূর্বে ডাক্তার লেখা, হাসপাতালের অনুমোদনের চেয়ে বেডের সংখ্যা বেশি, এমবিবিএস ডাক্তার এবং ডিপ্লোমা নার্স না থাকা সহ নানাবিধ অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান। ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মকদুম জাহান রানা, ডা. মিলন হোসেন, স্যানিটারি ইনেসপক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার এবং স্বাস্থ্য ইনেসপেক্টর মন্ডল ভুপতি ভূষণ এপোলো হাসপাতালের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেন। পূর্বে নোটিশ করা হলেও তদন্তকালীন সময়ে হাসপাতালের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন না।

এছাড়া তদন্ত কালীন সময়ে ডিপ্লোমাধারী নার্স, মেডিকেল অফিসারের তালিকা দেখাতে ব্যার্থ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক নীতিমালা অনুযায়ী ৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ১ জনের উপস্থিত দেখা যায় বলে জানান তদন্ত কমিটি। এরপর একাধিকবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কতৃপক্ষের টনক নড়েনি। বৃহস্পতিবার অভিযানে কাগজপত্র এবং ক্লিনিক চালানোর যথেষ্ট সামর্থ্য না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আসাদুজ্জামান। এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন,আমরা তাদের কিছু কাগজপত্রের ত্রæটি পেয়েছি। সমস্যা সমাধানে আগামী ১ মাসের সময় দেওয়া হয়েছ এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে কাগজপত্রের সমস্যা সমাধান না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আবারো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের নিবন্ধন নবায়ন নেই অপারেশন বা অন্যানা কার্যক্রম চলমান থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ওটি বন্ধ বা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এসময় র‌্যাব-৬ এর কমান্ডার মেজর খালিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানসহ র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version