নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: অনাবৃষ্টি আর অতিরিক্ত তাপদাহের শঙ্কা কাটিয়ে খাজরার কৃষকরা ভাল আমন ধান আবাদের আশায় বুক বেঁেধছেন। অতিরিক্ত তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে আশাশুনির খাজরায় এবার আমন মৌসুমে দুঃচিন্তায় ছিলেন চাষিরা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার এ মৌসুমে চলতি আমন ধান আবাদে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা ছিলো মনে। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা ছিলেন আতংকিত। এতদ কারনে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও শঙ্কা নেহাৎ কম নয়। তবে আশি^নের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভালো ফলন আর ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমন চাষে লোকসানের শঙ্কা কাটিয়ে উঠবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন খাজরার চাষিরা।
অধিকাংশ কৃষকরা বলছেন, গত মৌসুমে এক বিঘা ধান চাষে খরচ হয়েছিল ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এবার ধান চাষে চাষিদের খরচের অংক দাঁড়িয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। এক দিকে খরচ বৃদ্ধি অন্যদিকে প্রকৃতির বৈরী আচরণ। সব মিলে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। চাষ,সার,কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন উপকরণের দাম বাড়ানোর কারণে বেড়েছে উৎপাদন খরচও। এ জন্য চাষিদের ফসল উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
খাজরার চেউটিয়া,ফটিকখালী,পিরোজপুর,খালিয়া,রাউতাড়া,তুয়ারডাঙ্গা বিলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ হচ্ছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত এখন কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়নি এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন কৃষক। তবে এবার অনাবৃষ্টির কারনে জায়গা ভেদে ভাদ্র মাসের শুরুতে ধানের চারা রোপন শুরু হয়। অন্য দিকে ফটিকখালী বিলে সময়মত পানি নিষ্কাশন না করতে পারায় এবার ৫০ বিঘার মত জমি আমন ধান চাষ হয় নি বলে দেখা যায়।
ইউনিয়নের বিলগুলো ঘুরে দেখা যায়,চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। সদ্য রোপন করা ধানের চারা গুলো খুব্র দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে। এখন চলছে আগাছা পরিষ্কার,সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজ।