Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরায় বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার, ফ্রেমন ফাদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সাতক্ষীরা খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউএসএআইডি’র ইনট্রিগেটেড পেষ্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এওয়ারনেস রেইজিং ওয়ার্কশপ অন নিউলি ইনভেটেড পেষ্টস শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউএসএআইডি’র ব্যবস্থাপনায় ইউএসএআইডি’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাধব চন্দ্র দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপপরিচালক ড. মোঃ জামালউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিনেরপোতা ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের কৃষিবীদ ড. তাহমিদ হোসেন আনসারী, ড. মোঃ বাবুল আক্তার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অলি আহম্মেদ ফকির, ইউএসএআইডি’র কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভরশীল দেশ। কালের বিবর্তনে এদেশের জন্যসংখ্যা বাড়ছে দ্রæতগতিতে। ফলে খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তণে আমাদের দেশে বৃষ্টি যথাসময়ে ও পর্যাপ্ত পরিমানে হচ্ছে না। এর প্রভাবে ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া কৃষিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বিষমুক্ত সবজি ও ফসল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষযুক্ত ফসল ও সবজি খাওয়ায় আমাদের জীবনী শক্তি কমে যাচ্ছে। এসবের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পোকা মাকড় মারতে কীটনাশকের পরিবর্তে ফ্রেমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। যিনি পেস্টিসাইড বিক্রি করে থাকেন তিনি জৈব পেস্টিসাইড বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করবেন এমন কথা মাথায় রেখেই আবহাওয়া অনুযায়ি সময় মতো কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে কৃষকদেরকে সচেতন করতে হবে।
কর্মশালায় কলেজ শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তা, গবেষনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, খামারী, কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।
শুরুতইে পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন খামারবাড়ির ঈদগাহের ইমাম মোঃ কবিরউদ্দিন, পব্রিত গীতা থেকে পাঠ করেন মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version