সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
সাতক্ষীরার উপকূলের মানুষ চায় টেকসই বেড়িবাঁধ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সুন্দরবন সংলগ্ন উপক‚লীয় জেলা সাতক্ষীরা। এই জেলায় ৮শ কিলোমিটার ভেঁড়িবাধের মধ্যে ঝুকিপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে ৩৫টি। তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছে সব চেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ন দূর্গাবাটিসহ সব বেড়িবাঁধ পাউবোর মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে। ৬০এর দশকে নির্মিত এই বেড়িবাঁধে বড় ধরণের কোন দূর্যোগ না হলে ভাঙ্গার আশংকা নেই। পানি উন্নয়ন বোডের কর্মকর্তারা বলছে এখন বেড়িবাঁধকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় তারা সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। আর স্থানীদের দাবি টেশসই ভেড়িবাধ ।
বুড়িগোয়ালিনি এলাকার আব্দুল মতিন, আমিনুর রহমান, নীলকান্ত, সঞ্জয় মন্ডল জানান, উপকূল এলাকার মানুষ ভাল নেই। আইলা, সিডর, আম্পানের মত প্রাকৃতিক দূযোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে এই জরাজীর্ণ ভেড়িবাঁধ দিয়ে। নোনা পানি কারনে তাদের এলাকায় হয় না কোন ফসল। নেই কোন কর্মসংস্থান। এর মধ্যে প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নোনা পানি তাদের সব শেষ করে দিয়ে যাচ্ছে। বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি খোলপেটুয়া নদীর দূর্গাবাটি ওয়াবদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে দ্রæত ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ঝুকিপূর্ন সব বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোডের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে। বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দূযোগ না হলে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার আশংকা নেই। আর পানি উন্নয়ন বোড বেড়িবাঁধ পর্যবেক্ষন করছে। শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, দূর্গাবাটি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। এই এলাকায় প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এবছর ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথে পাউবো বেড়িবাঁধ মেরামত করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন বেড়িবাঁধ মেরামত করলে হবে না। উপক‚লীয় এলাকায় মানুষের বসবাসের উপযোগী করতে হলে টেকসহ বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোড- ১এর নির্বাহি প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, আইলার সময় যে পরিমান পানির লেবেল ছিল এখন সাধারণ জোয়ারে সেই পরিমান পানির লেবেল থাকে। এখন বেড়িবাঁধকে অত্যাধিক দুরুত্ব দেওয়ায় পানি প্রবেশ করছে না। সারাক্ষণ বেড়িবাঁধকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। এবছর একটি মাত্র পয়েন্ট ভেঙ্গে গিয়েছিল। তবে দ্রæত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা মেরামত করা হয়েছে। 8,587,777 total views, 4,463 views today |
|
|
|