কামাল হোসেন, শ্রীউলা প্রতিনিধি : বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর আলিম মাদরাসার ৫ টি পদে নিয়োগ স্থগিত করেছেন জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির।
২৯ সেপ্টেম্বর এ নিয়োগ স্থগিত ঘোষনা করা হয়। অবৈধ নিয়োগ বন্ধের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক, সুধি সমাজ এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে জেলা প্রশাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান একজন গেজেটভুক্ত রাজাকারের ছেলে। তার অনিয়ম, দূনীর্তি স্বজন প্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে এলাকার শান্তিকামী মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তার অনিয়ম, দূনীর্তি স্বজন প্রীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিকার পেতে গ্রামবাসীর পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রনালয়, দূদক,জেলা প্রশাসক সহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাগেছে গাজীপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদটি দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় ২০০৭সালে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সময়ে এ অধ্যক্ষের আচারনে এলাকাবাসীর বাধার মুখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরর্বিতে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে অবশেষে ২০১৮সালে ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন রকমের অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানের এতিম খানায় এতিম ছেলেমেয়ে না থাকা সত্বেও তার মেয়াদকালে লক্ষ লক্ষ উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকার জবাবদিহিতা নেই বললে চলে। চলতি বছর সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত কমিটি করার কথা থাকলেও তিনি পেশী শক্তির বলে বিধিমালা লঙ্ঘন করে নামমাত্র একটি পাতানো কমিটি করে। এ কমটি অধ্যক্ষের নিজের পছন্দের লোক দিয়ে বিতর্কিত কমিটি বানিয়ে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে চেয়েছিল।
৩০ সেপ্টেম্বর উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, পরিচ্ছন্ন কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া মোট ৫টি পদে নিয়োগ দেরয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে অধ্যক্ষের ছেলে অফিস সহকারী, ভাইয়ের স্ত্রী আয়া বাকী প্রার্থীরা সকলে অধ্যক্ষের পছন্দের বলে জানাগেছে। সহকারী শিক্ষক শফিউল আযম জানান ৩০ সেপ্টেম্বর আমদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্ত অনিবার্য কারনবসত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে বলে অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছেন।