নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা শুরু হয়েছে গত ২০ সেপ্টেম্বর। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেলায় ভীড় না হলেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার সাথে সাথে মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর বিশেষ করে শুক্রবার এবং শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় তিল ধরার ঠাঁই থাকছে না মেলা প্রাঙ্গণে। সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌর দিঘির পাড়ে নান্দনিক রূপ আর সৌন্দর্যের পেখম খুলে বসেছে গুড় পুকুরের মেলা। দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনে মেলায় নাগরদোলা, নৌকা ও ট্রেনসহ রয়েছে নানান ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন।
শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, যুব-বৃদ্ধ সবাই ঐতিহ্যবাহী এ মেলার আনন্দ উপভোগ করছেন। স্বজনদের নিয়ে নাগরদোলায় উঠে উপভোগ করছেন অনাবিল আনন্দ। শিশুরা চড়ছে তাদের পছন্দের জাম্পিংসহ নানান রাইডারে। এবারের মেলায় কসমেটিক্স, বাহারী পোশাক ও জুতার পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এছাড়াও রয়েছে দা, বটি, কোদাল, খাট-পালংসহ বাহারী খাবারের আয়োজন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলায় স্টল দিয়েছেন। স্টলগুলো সাজানো হয়েছে নান্দরিক রূপে। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক ও পৌর দীঘির পাড়কে মুড়ে দেয়া হয়েছে সৌন্দর্যের মোড়কে। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম, বিক্রি ততটা হয়নি। তবে যদি মেলার সময় আরও কিছু দিন বাড়ানো হয় তাহলে আমাদের বিক্রি বাড়বে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবারের বেচাকেনা অনেক খারাপ।
এদিকে গুড় পুকুর মেলার সময় আরও কয়েকদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা না হওয়ায় এবছর প্রথম থেকে প্রত্যাশিত ক্রেতা আসেনি। শেষদিকে এসে ক্রেতাদের টানতে দোকানগুলোতে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম মূল্যছাড়। তাই সময় বাড়ালে বেচাকেনা বাড়তে পারে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছি। তাহলে আমাদের লোকসান পুষিয়ে উঠবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এব্যাপারে মেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মানিক সিকদার বলেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আয়োজক কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। সময় বাড়ানো হলে মেলার বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।