Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন ছয়জনের নামে মামলা: গ্রেপ্তার-১

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে সামছুর রহমান গাজীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার দু’ শ্যালকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে শাহীনুর গাজী বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শাহীন ফকির নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে মামলা করার পর সন্ত্রাসী ফজর আলী ও তার সহযোগীদের হুমকির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃত শাহীন ফকির কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বাকী ফকিরের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায় ফজর আলী ও আহাদ আলী তার বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে বাবার জীবদ্দশায় সকল জমি লিখে নেয়। ফলে ফজল আলী ও আহাদ আলীর সঙ্গে তাদের বোন একই গ্রামের মজিদা খাতুন ও ভগ্নিপতি সামছুর গাজী ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল না। ফজর আলী তার ভগ্নিপতি ও পরিবারের সদস্যদের এলাক্ াছাড়া করার চেষ্টা করেছে কয়েকবার। সামছুর গাজী মঙ্গলবার রাতে ঘেরে না গেলে ফজর আলীসহ তার দ্ইু সহযোগী মাছ চুরির চেষ্টা করে। এ সময় সামছুর গাজীর ছেরে মিজানুর ঘেরের বাসায় যেয়ে মামা ফজর আলী ও তার সহযোগীদের দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করে।

এর জের ধরে ফজর আলী ভাগ্নে মিজানুরকে চোর সাজাতে ঘেরের বাসায় থাকা জামা ও গেঞ্জি নিয়ে মাছ চোর হিসেবে চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করে। চেয়ারম্যোন সাফিা পারভিন গ্রাম পুলিশ পাঠালেও মিজানুর পরিষদে যায়নি। একপর্যায়ে বৃহষ্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে মিজানুরকে বাড়ি থেকে ধরতে আসে মামা শ্শুর ফজর আলীসহ কয়েকজন। তাকে না পেয়ে জমিতে গাছ লাগানোর সময় হাত থেকে কোদাল ও শাবল কেড়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি সামছুর ও তার স্ত্রী মজিদাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামছুরকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মজিদাকে উপজেলা স্ব্স্থ্যা কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়।

নিহতের ছেলে মিজানুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন জানান, মামলা করার পর হত্যা, ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামী ফজর আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদরেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। যে কোন সময় তার স্বামী , দেবরসহ অন্যরা খুন হতে পারেন বলে তাাদের আশঙ্কা। এজন্য তারা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হালিমুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সামছুর গাজীর লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহীনুর গাজী বাদি হয়ে মামা ফজর আলী, আলী, ফজর আলীর জামাতা জামাল, ফজর আলীর স্ত্রী ফিরোজা, আহাদের স্ত্রী ফুলি ও ফজর আলীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য শাহীন ফকিরের নাম উলে¬খ করে বৃহষ্পতিবার রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শাহীন ফকিরকে বৃহষ্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version