নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন কারী আনসার সদস্যদের ভাতা বাবদ টাকা আত্মসাতের ঘটনা দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে তাদেরকে অফিসে ডেকে অবশিষ্ঠ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আনসার সদস্য মুরারীকাঠি গ্রামের মৃত:আ: রহমানের ছেলে মোহাম্মাদ আলী জানান, গত কিছু দিন পূর্বে আমার বাড়ীতে এসে করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করায় আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পরবর্তীতে সাংবাদিক ভাইরা পত্রিকায় হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকের টাকা আত্মসাতের খবর প্রকাশ করলে ৩০ আগস্ট ২০২২ তারিখে আমার বাড়ী থেকে অফিসে ডেকে নিয়ে বাকী ৩৮ হাজার ২ শত টাকা আমাকে দিয়ে দেন এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার অনুরোধ করেন। তিনি সাংবাদিক ভাইদেরকে সত্য খবর প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ এবং এই অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িতদেরকে শাস্তির আওতায় আনার দাবী করেছেন।
উল্লেখ্য: গত ২৯ আগস্ট প্রকাশিত খবরে কলারোয়া হাসপাতালে করোনাকালীন সময়ে ৬ জনের জায়গায় ৯ জন আনসার সদস্য প্রতি জনের ৫৮ হাজার ২ শত টাকা উত্তোলন দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছিল। সুত্র জানায়, কলারোয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হাসপাতালে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ৬ জন আনসার সদস্য স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৯ জন স্বেচ্ছাসেবক দেখিয়ে ও তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করেন।