সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
হত্যার চার দিন পর চা বিক্রেতার হত্যাকারী গ্রেপ্তার: কাটা মাথা ও রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর সরদারপাড়ার নিহত চা ব্যবসায়ি ইয়াছিন আলী মোল্যার ঘাতক শেখ জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রবিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরতলীর পারকুকরালি কাঠালতলা গুচ্ছগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি রবিরার দুপুরের দিকে শহরের কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশের বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচের জলাশয় থেকে বস্তাবন্দি ইয়াছিন মোল¬্যার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোস্তাক আহম্মেদ রবিবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বাইপাস সড়কে এক প্রেস ব্রিফিংএ জানান, ২০ হাজার পাওনা টাকা দিতে টালবাহানা করায় এক মাস আগে জাকির হত্যার পরিকল্পনা করে ইয়াছিনকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ দিন আগে শহরের কামাননগর থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে একটি দা কিনে তাতে ধার দেয়। দা নিয়ে ইয়াছিনের চায়ের দোকানে এসেছে কয়েকবার। গত ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একটি হোটেলে বিরিয়ানি খাওয়ানোর পর তাকে একটি ভ্যান চালাতে দিয়ে সে নিজে যাত্রী হিসেবে বসে থাকে। বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকায় এলে ইয়াছিনকে পিছন দিক থেকে ঘাড়ে কোপ দেয় জাকির। এরপর ভ্যানটি আরো কিছুদুর এগিয়ে গেলে তার ঘাড়ে আরো একটি কোপ মারলে রাস্তায় পড়ে যায় ইয়াছিন। সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে নির্জন জায়গায় জলাশয়ের মধ্যে নিয়ে তাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে জাকির। পরে তার লাশ ও পরিহিত জামা একটি বস্তার মধ্যে ভরে শহরের কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশের বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচের জলাশয়ে বস্তা ফেলে দেয়। সেখান থেকে মেডিকেলের সামনে এসে একটি পুকুরে গোসল করে তার রক্তমাখা জামা ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যায়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাতক্ষীরা শহরতলীর পারকুকরালি কাঠালতলা গুচ্ছগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ৫৫ বছর বয়সী জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি শহরের কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশের বাইপাস সড়কের কালভার্টের নীচের জলাশয় থেকে বস্তাবন্দি ইয়াছিন মোল্য¬ার মাথা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া নিহতের রক্তমাখা জামা, জাকিরের রক্তমাখা জামা ও হত্যাকাÐে ব্যবহৃত ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। তবে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল াকনা।
স্বামীর কাটা মাথা উদ্ধার ও হত্যাকারিকে গ্রেপ্তারের খবরে বাইপাস সড়কে ছুটে আসেন তাসলিমা খাতুন, তার তিন মেয়ে ও স্বজনরা। তারা জাকির হোসেনের ফাঁসির দাবি করেন। 8,769,598 total views, 1,321 views today |
|
|
|