জয়নগর প্রতিনিধি: বাবার বাড়ির এলাকায় নিজ নামে ৫ কাঠা জমি কিনে না দেয়ায় ৪ লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা নিয়ে পালিয়েছে স্ত্রী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আপোশ মীমাংসায় রাজি না হওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করেছেন স্বামী। ঘটনাটি কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। বিয়ের সময় ৪ লক্ষাধিক টাকার হাতের কানের গলার স্বর্ণালংকার দেয়া হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ মীরের ছেলে মো: ওছমান গনির সাথে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বরণডালী গ্রামের ওছমান গনির মেয়ে মুক্তা খাতুনের বিয়ে হয়। স্বামী ওছমান গনি পিতা মাতার সাথে যৌথ পরিবারে বসবাস করে আসছিল। ইতমধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর পর থেকে সংসারের খুটিনাটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী মুক্তা খাতুন স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মানষিক ভাবে নির্যাতন করা শুরু করে। শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ঘর সংসার করবে না বলে বাবার বাড়ি চলে যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক বার মুক্তার বাবার বাড়ি যোগাযোগ করা হলেও সে আর সংস্কার করবে না বলে আপোশ মীমাংসায় রাজি হয়নি। এমন অবস্থা চলতে থাকার এক পর্যায়ে ওসমান গনি এক দুর্ঘটায় আহত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে স্ত্রী মুক্তা খাতুন আরো বেপরোয়া পড়ে। সে চরিত্রহীন , যৌতুক ও পরসম্পদ লোভী হয়ে পড়ে।
বাবার বাড়ির লোকজনদের কু-পরামর্শে বায়না ধরে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে হলে তার বাবার বাড়ির এলাকায় ৫ কাঠা জমি লিখে দিতে হবে। অন্যথাকায় নগত ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তা না হলে সে সংসার করবে না। এমনকি শিশু সন্তানকেও দেখা শুনা করবে না। গত ২৩/০৯/২২ তারিখে মুক্তা ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সামান্য কাথাকাটকাটির একপর্যায়ে বিয়ের সময় দেয়া ৪ লাক্ষাধিক টাকার স্বার্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষক, সমাজ সেবক, ইউপি সদস্যসহ এলাকার শুশীল সমাজের নাগরিকদের নিয়ে যোগাযোগ করা হয়ে স্ত্রী মুক্তা খাতুন সবাইকে সম্মানহানি করে তার বাবার বাড়ি থেকে হটিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় গত ২৮ /০৯/২২ তারিখে সুবিচার প্রার্থনা করে ওসমান গনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ৪ নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।