নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল আজিজকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় অপর এক আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এমজি আজম এই রায় ঘোষনা করেন। এ রায় ঘোষনার সময় আসামী আব্দুল আজিজ কাঠগোড়াই উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক আছেন।
দন্ডিত আসামী আব্দুল আজিজ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের মৃত ইন্তাজ সরদারের পুত্র।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের আব্দুল আজিজের সঙ্গে সদর উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আব্দুুল মান্নানের মেয়ে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রেহেনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো তার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে আসামী আব্দুল আজিজ ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রী রেহেনা পারভীনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী বাদী হয়ে পরদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামী আব্দুল আজিজ ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুসসহ ৫ জনের নাম উলেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক এ মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল আজিজ ও তার ভাসুর আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তীতে নিহতের ভাসুর আব্দুল কুদ্দুস মারা যান এবং তার স্বামী আব্দুল আজিজ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আসামীর অনুপস্থিতে জনাকীর্ণ আদালতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। একই সময় এ মামলার অপর আসামী আব্দুল কুদ্দুসকে বেকসুর খালাস দেন। সরকারপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দর বাবু। অপরদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বসির আহমেদ।