সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
শ্যামনগরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন
সুন্দরবনাঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলনে ব্যস্ত একটি চক্র। উপজেলার আটুলিয়া, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবাধে এসব বালু উত্তোলনের কারণে স্থানীয়দের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক জেকে বসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়দের কথা তোয়াক্কা করেন না তারা। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। উল্লেখ যে, ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ২২.০০.০০০০.০৭৩.১৩.০০৪.২০১৪/১৩ সংখ্যক স্মারকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়। সুন্দরবন প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার সকল পূর্ণ ও আংশিক মৌজার নাম এ সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে সন্নিবেশ করা হয়। সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত ইসিএভুক্ত এলাকা হিসাবে শ্যামনগরের ৫২টি গ্রাম (Ecologically Critical Area) ECA অর্থাৎ ইসিএ এলাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে গাবুরা উল্লেখযোগ্য। এদিকে তবে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের ঘটনায় জুয়েল নামের একজন সহযোগী বলেন, বরগুনার মেয়র ঠিকাদার শাহাদাৎ হোসেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে বলে বালু উত্তোলনের করছেন। আমরা কিছু জানি না, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন। অন্যদিকে বোরিং মেশিনের মালিক কয়রার রেজাউল করিম বলেন, ‘গতকাল মেম্বারের বালু উত্তোলন করেছিলাম। আর আজ পাশের একজনের উত্তোলন করে দিচ্ছি। আমাদের অনুমতি আছে তাই আমরা বালু উত্তোলন করছি’। তবে স্থানীয় রফিকুল, হজরত, আরিফ, শুকর আলী, মনিরুল জানিয়েছেন, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বেড়িবাঁধের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। এমনভাবে বোরিং করে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে আগামীতে আমরা আরো ভাঙন ঝুকিতে থাকবো। এ ব্যাপারে গাবুরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, আমি পুলিশ পাঠিয়ে কাজটি বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু পূনরায় যদি কাজ করে থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 8,255,666 total views, 4,575 views today |
|
|
|