সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
কলারোয়ায় ৪৬ টি মন্দিরে পূজা : চলছে মন্ডপের শেষ কর্মযজ্ঞ
কলারোয়া প্রতিনিধি: বছর ঘুরে আবার এসেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। রাত পোহালেই পূজা শুরু, আর তাই শেষ আয়োজন চলছে পূজা মন্ডপগুলোতে। প্রতিমা সাজানোর পালাও প্রায় শেষের দিকে। মন্ডপে আলোকসজ্জা আর উঠোনে আলপনা মেখে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সৌন্দর্য। প্রতিমার কোথাও যেন সৌন্দার্যের ঘাটতি না থাকে সেদিকে চোখ দিচ্ছেন কারিগররা। এমন কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সব কয়টি পূজা মন্ডপে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি সাতক্ষীরার কলারোয়া শাখা সূত্রে জানাগেছে, কলারোয়া উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ৪৬টি দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, দিন রাত একাকার করে কারিগররা প্রতিমা তৈরির শেষ আয়োজন চালাচ্ছেন। বাহারি রঙ, স্বর্ণালংকার আর লাল শাড়িতে পরিপূর্ণ করা হচ্ছে প্রতিমাকে। রঙতুলি হাতে পুরো প্রতিমাজুড়ে বারবার কারিগররা চোখ ভোলাচ্ছেন। দেখছেন কোথাও কোনো অপূর্ণতা রয়েছে কি না। অন্যদিকে চলছে মন্ডপের লাইটিং ডেকোরেশন ও দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও। মন্ডপে বাহারি রঙের আলপনা আর নকশা আঁকায় ব্যাস্ত অনেকেই। পূজোর আয়োজনকে ঘিরে পাড়া মহাল্ল থেকে শুরু করে বাড়ির শিশু-কিশোর এবং বয়স্কদের মনেও খুশির আমেজ যেন ভরপুর। আয়োজন আর অতিথি আপ্যায়নের যেন কোন কমতি না থাকে সেই দিকে নজর রয়েছে প্রতিটি পরিবারে। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী এই পাঁচ দিন যেন ভিন্ন ভিন্ন আনন্দ নিয়ে আসবে সকলের মনে। এদিকে পূজা উপলক্ষে নতুন জামা-কাপড় কেনার ধুম পড়েছে পাড়া মহল্লার বাজার গুলোতে। সুজয় ঘোষ নামে একজন জানান, বছর ঘুরে মা এসেছে। মনে তো আনন্দ থাকবেই। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব তাই আগে থেকেই নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। হাতে সময় নেই তাই পূজা উপলক্ষে পরিবার পরিজনদের জন্য কেনাকাটা করতে মন আকুপাকু করছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কলারোয়া শাখার সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু নিরঞ্জন ঘোষ এই প্রতিবেদককে বলেন, গত বছর মহামারী করোনার প্রভাবে আমাদের পূজা মন্ডপগুলো আনন্দহীন হয়ে পড়েছিল। তবে এ বছর করোনার না থাকায় কারনে আনন্দ উল্লাস কমতি নেই। বড় ছোট সবার মনেই এ বছর আনন্দের যেন কমতি নেই। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, সনাতন ধর্মীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এসব স্থানে নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আশাকরি সুষ্টু ও সুন্দরভাবে হিন্দু স¤প্রদায় তাদের পূজা উৎসব পালন করবে। 8,314,515 total views, 3,761 views today |
|
|
|